রোববার আইপিএল ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অসহায় আত্মসমর্পণের পর শুরু হয়েছে ম্যাচের চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেনো এমন পানসে হয়ে গেল ম্যাচ? কারণ হিসেবে যেকেউ এক শব্দে বলে উঠতে পারেন- ওয়াটসন। ৮ ছয় ও ১১ চারে মাত্র ৫৭ বলে ১১৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে একাই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। তাতে, দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এসেই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলো চেন্নাই সুপার কিংস। তবে, প্রশ্ন উঠছে সানরাইজার্স অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়েও। কিংসদের কাছে নাজেহালের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে কেন উইলিয়ামসনকেই।
টি-টোয়েন্টিতে ১৭৮ রান, তাও আবার ফাইনাল ম্যাচ। তবু সামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারল না সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ! ৬ ওভার শেষেও ম্যাচের পাল্লাটা হেলে ছিল সানরাইজার্সের দিকে। কিন্তু ওয়াটসন-রায়নার মাত্র ৫৭ বলে ১১৭ রানের জুটিতে আফসোসটুকু করার সুযোগও পেল না হায়দ্রাবাদ।
প্রথম ১০ ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চেন্নাইয়ের কাছে হেলে যাওয়ার পর প্রয়োজন ছিল বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অধিনায়কের কার্যকর ভূমিকা। কিন্তু সেটি তো করতে পারলেনই না বরং খামখেয়ালিপূর্ণ অধিনায়কত্ব করে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৮ উইকেটে হেরে গেলো ক্যান উইলিয়ামসনের দল।
এবারের আইপিএলে সবচেয়ে সেরা বোলিং আক্রমণ হায়দরাবাদের। দলে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান ও সাকিব আল হাসানের মতো বোলার। অথচ তাদের কাউকেই ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেননি উইলিয়ামসন। বল হাতে ১ ওভারে ১৫ রান দেওয়ার পর আক্রমণে ফেরার সুযোগই পেলেন না প্রধান বোলিং স্তম্ভ সাকিব আল হাসান।
চেন্নাইয়ের প্রথম উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টির মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি উইলিয়ামসন। আগের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লেতে সাকিব ভালো করলেও তাকে বল দেননি। যখন দিলেন তখন শেন ওয়াটসন ও সুরেশ রায়নার ক্রিজে সেটি। বলতে পারেন সাকিব ছক্কা খেয়েছেন। কিন্তু ছক্কা তো ওয়াটসনের হাতে প্রায় সবাই খেয়েছের। পেসার সন্দীপ শর্মা ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়েছেন। সন্দীপ যখন বারবার মার খাচ্ছেন তখন কোনো চেঞ্জ আনেননি উইলিয়ামসন। পেসারদের বারবার মার খাওয়ার পরও বিপরীতে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন স্পিনারকে আনার কথা কেন ভাবেননি উইলিয়ামসন। সেটিও তার অধিনায়কত্বের দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
এ দুই ব্যাটসম্যানকে সেট হওয়ার আগে রশিদ খানকে টেনেও চাপ সৃষ্টি করার পথে আগাননি উইলিয়ামসন। ধারাভাষ্যকাররাও এ বিষয়টি বারবার উল্লেখ করছিলেন। কিন্তু উইলিয়ামসনের মাথায় যে কেন বিষয়টি আসেনি তা তিনিই ভালো জানেন। শেষ পর্যন্ত এর কড়া মাশুল গুনে শিরোপা বঞ্চিত হল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অধিনায়ক উইলিয়ামকেই দুষছেন হায়দ্রাবাদ সমর্থকরা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply