গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় প্রেমিককে ঘরে আটকে রেখে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার তরুণীর বড় বোন বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
এরআগে, শনিবার (২৬ মে) রাতে সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গংগা নারায়নপুর গ্রামের একটি আখক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন মোস্তা মিয়া (৩০), মাইন মিয়া (২০) রব্বানি মিয়া (২৪), সাদেকুল ইসলাম (২২) ও নাজমুল ইসলাম (৩০)। আসামি সকলের বাড়ি সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছত্রগাছা গ্রামের আবদুুল জলিলের ছেলে আশিকুর রহমানের সাথে পাশ্ববর্তী ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গংগা নারায়নপুর গ্রামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। শনিবার রাতে আশিকুর রহমান প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে যান। এসময় মোস্তা, মাইন, রব্বানি, সাদেকুল ও নাজমুল তাদের আটক করেন। পরে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোস্তার বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখা হয়।
এ ঘটনার পর আশিকুরের হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। কিন্তু দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় প্রেমিক আশিকুরকে মোস্তার ঘরে আটকে রেখে প্রেমিকাকে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে যায় তারা। পরে মোস্তা ও মাইন প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন ও তাদের সহযোগী তিনজনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এমরানুল কবীর বলেন, ‘ভিকটিম ও প্রেমিককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আসামিরা বিভিন্ন অপর্কমের সাথে জড়িত। মোস্তা ও মাইনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।’
যমুনা অনলাইন:আরএম/জিআর
Leave a reply