প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করলেও ভোটের মাঠে বিএনপিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ

|

২০২৩ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করলেও ভোটের মাঠে গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা মনে করেন, বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের আস্থা শূন্যের কোঠায়। তারা বলছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই ভোটের মাঠে গুরুত্ব পাবে না বিএনপি। অন্যদিকে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

২০১৮ এর ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। গেল সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ভোটের মাঠে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। এবারও আলোচনা আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে।

তবে, বিএনপির ভোটের রাজনীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই বলছেন নেতারা। টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে এখনও জনপ্রিয় দল। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় একটি ‘অসন্তোষ গ্রুপ’ আছে যারা আমাদের সমালোচনা করেন, এই গ্রুপের সমর্থনটা হয়তো তাদের পক্ষে চলে যেতে পারে, এটার একটা সম্ভাবনা আছে; এছাড়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মীবাহিনীর সামনে দাঁড়াতেই পারবে না বিএনপির কর্মীরা।

নেতাদের মন্তব্য, বিএনপি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অনেকটাই কোণঠাসা; যেখানে সাংগঠনিক দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কোনো বিশেষ শক্তিবলে পরিস্থিতি পাল্টানোর সুযোগটা কারোরই নেই। অন্য কোনো রাজনৈতিক অশুভ মতলব থেকে যদি তারা মনে করে যে তারা নির্বাচনে যাবে না; তাহলে কারোরই কিছু করার নেই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নির্বাচনে না আসার কোনো কারণ বিএনপির নেই এবং কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই।

সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয়লাভের লক্ষ্য বলে জানান আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে মাঠে নামছে ব্যাপারটা এরকম না। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সমর্থন নিয়ে আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে আমাদের জয় নিশ্চিত করা। এখন মাঠের চিত্র একেক জায়গায় একেক রকম। কোথাও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিএনপি থাকতে পারে আবার কোথাও কোথাও অন্য কেউও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এরইমধ্যে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা তৃণমূলে পৌঁছানো হয়েছে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply