সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন, ২৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার

|

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী পশ্চিম মেদিনীপুর। সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠলো ছেলেদের বিরুদ্ধে। প্রায় ২৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই বৃদ্ধের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

খবরে বলা হয়, গত ২৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই বৃদ্ধ। সেই নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত করছিল পুলিশ। সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল বৃদ্ধের দুই ছেলেকে। অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে যে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকেই লুকানো রয়েছে বৃদ্ধের দেহ। সোমবার দুপুরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেই সেপটিক ট্যাংক থেকে বৃদ্ধের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুভাষ প্রামাণিক। গত ১৬ তারিখ থেকে নিখোঁজ থাকলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ জানিয়েছিলেন পাড়ার লোকেরাই। তারা জানান, গত ১৬ তারিখ সুভাষের দুই ছেলে দীপঙ্কর ও শুভঙ্কর মিলে ব্যাপক মারধর করে সুভাষকে। সেই মারধরে জড়িত ছিল মৃত সুভাষের ভাই চন্দন ও তার স্ত্রী গৌরীও। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সুভাষ। এরপরই স্থানীয়দের সন্দেহ হয় যে ওই মারধরের ফলেই সুভাষ মারা যান।

প্রতিবেশীরা জানায়, নিজেদের নামে সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য প্রায়ই বাবাকে মারধর করতো ছেলেরা। কিন্তু ছেলেদের সম্পত্তি লিখে দিলে বৃদ্ধ এবং তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে ছেলেরা তাড়িয়ে দিতে পারে এমনটা অনুমান করেই সুভাষ ছেলেদের সম্পত্তি লিখে দেয়নি। বছর খানেক আগে দুই ছেলে মিলে সুভাষকে মেরে হাত-পা ভেঙে দিয়েছিল। দুই ছেলের অত্যাচারে দু’মাস আগেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃদ্ধের স্ত্রী। সুভাষ এই ঘটনার জন্য ছেলেদেরই দায়ী করতেন। তারপর থেকেই শুরু হয় লাগামছাড়া অত্যাচার। অবশেষে গত ১৬ জুন দুই ছেলে ও তাদের কাকা-কাকি মিলে ব্যাপক মারধর করে সুভাষকে। পরে মৃত্যু হলে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় তারা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply