বুধবারের (১৩ জুলাই) মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাকাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করলে ভয়াবহ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করবে শ্রীলঙ্কা। এমন হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বিক্ষোভ আয়োজক ও ইউনিয়ন নেতারা। খবর বিবিসির।
পদত্যাগের ঘোষণা ইতোমধ্যে দিয়েছেন গোতাবায়া রাকাপাকসে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মাঝে এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। শ্রীলঙ্কার নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের দায় অনেকেই দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাকাপাকসেকে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য ও ঔষধের সংকটে দেশটিতে জনজীবন থমকে আছে।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করার পর সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন তিনি নিজেও। কিন্তু বহু শ্রীলঙ্কান চান প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক পদত্যাগ। কারণ, গোতাবায়া পদত্যাগ করলে দেশটির সংবিধান অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিনের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসবেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
বিবিসিকে বিক্ষোভের আয়োজক ফাদার জিভান্থা পেরিস বলেন, যদি তারা (প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী) ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে পদত্যাগ না করে তবে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবে শ্রীলঙ্কান জনগণ।
বিক্ষোভকারি এক ইউনিয়ন নেতা প্রতিবাদের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এ ব্যাপারে একমত হয়েছে যে, চলমান বিক্ষোভের সাথে ১৪ তারিখ থেকে ভয়াবহ ও বিশাল আকারের প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবেন তারা।
ছাত্রনেতা ওয়াসান্থা মুদালিগে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী যদি দেশের জনগণকে বোকা বানাতে চায় তবে তাদের পস্তাতে হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে কঠোরতম কর্মসূচি শুরু হবে দেশজুড়ে। কলম্বোতে শনিবারের বিক্ষোভের চেয়েও তীব্রতা বেশি হবে সেটার।
আরও পড়ুন: নৌপথে দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন গোতাবায়া!
/এম ই
Leave a reply