বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সফল উদ্যোক্তা নুরুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

|

যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।

সাহসী দেশপ্রেমিক, সফল উদ্যোক্তা, সফল পিতা; এমন আরো অনেক গুণের সমন্বয়ে পরিপূর্ণ এক মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। দেশ ও মানুষের প্রতি ছিল যার দায়বদ্ধতা। তিনি এমন এক স্বপ্নদ্রষ্টা, যার রূপায়নে সমৃদ্ধ হয়েছে অসংখ্য মানুষের জীবন। তার প্রতিষ্ঠিত যমুনা গ্রুপ এখন লাখো পরিবারের জীবিকার অবলম্বন। আজ (১৩ জুলাই) এই স্বপ্নদ্রষ্টার চলে যাওয়ার দুই বছর। এই মহান কর্মবীরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

সততা, নিষ্ঠা আর ধৈর্য্য একটা মানুষকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে কতটা এগিয়ে নেয় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ নুরুল ইসলাম। অদম্য ইচ্ছা আর মেধাশক্তি দিয়ে সফল হয়েছেন তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে। বস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স, বেভারেজ, মিডিয়াসহ দেশ ও মানুষের কল্যাণে উদ্যোক্তা জীবনের ৩৮ বছরে নুরুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। যমুনা গ্রুপের কাণ্ডারি তার স্বপ্নযাত্রার শুরু করেছিলেন ১৯৭৪ সালে। অসীম সাহস আর দেশপ্রেম নিয়েই নেমে পড়েন ব্যবসায়। মেধা আর বিচক্ষণতার মিশেলে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়া।

দেশের টাকা দেশেই থাকবে, শিল্প সম্পদ সবই হবে দেশের জন্য। এমন নীতিতেই বিশ্বাস করতেন উদ্যোক্তা নুরুল ইসলাম। পরিবারের সবাইকেও দীক্ষিত করেছেন এই অভিন্ন দেশপ্রেমের শিক্ষায়। সুখ বিলাসিতা কখনও ছুঁতে পারেনি তাকে। শত ব্যস্ততার মাঝেও নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সফল বাবা।

দুই বছর আগে করোনার কাছে হার মানেন অদম্য নুরুল ইসলাম। বিদায়বেলায় সিক্ত হন রাষ্ট্রীয় সালাম আর সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায়। শেষযাত্রায় মানুষের ঢল আর অশ্রুই প্রমাণ করে অমর কীর্তি গড়েই বিদায় নিয়েছেন তিনি।

টগবগে তারুণ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি দেশমাতৃকাকে রক্ষার শপথ নিয়ে। প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আজ মাতৃভূমির কোলে ঘুমিয়ে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম; যে মাটিকে শত্রুমুক্ত করতে একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। সেই মাটির আলিঙ্গনে সিক্ত আজ জাতির সূর্যসন্তান। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার দৃঢ়প্রত্যয় এখন উত্তরসূরিদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply