স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ফারুক মিয়া নামের এক পৌর কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সদর মডেল থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। ফারুক মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বরত। ওই মামলায় কাউন্সিলর ফারুকের আরও দুই ভাইসহ অন্তত ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আমিনপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, চান্ডালখিল এলাকায় স্টোন ক্রাসারের ব্যবসা আছে বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার ছোট ভাই লোকমান মিয়ার। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমিনপুর পর্যন্ত পাথরভর্তি ট্রাক নিয়মিত আসা-যাওয়া করায় সড়ক ভেঙে গেছে। তার ট্রাক যাওয়া-আসার সুবিধার্থে তিনি মঙ্গলবার বিকেলে ভেকু মেশিন দিয়ে সড়কের পাশে থাকা বসতবাড়ি ও জমির মাটি কেটে ভেঙে যাওয়া সড়ক ভরাট করতে শুরু করলে বিনা অনুমতিতে মাটি কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করেন সেখানকার বাসিন্দা ও জমির মালিকরা। এ নিয়ে লোকমানের সাথে আমিনপুরের কয়েকজন যুবকের বাকবিতণ্ডাও হয়।
এরই একপর্যায়ে লোকমান স্থানীয় মাসুক মিয়া নামের একজনকে চড় মারেন ও গাছের ডাল দিয়ে মারধর করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাসুক গাছের ডালটি ধরে ফেললে লোকমান আরও ক্ষুব্ধ হন। পরে লোকমান তার নিজ গ্রাম ছয়বাড়িয়া গিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমিনপুর বাজার ও বাড়িঘরের হামলা করেন। এর নেতৃত্ব দেন লোকমানের বড় ভাই ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ফারুক মিয়া। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫জন আহত হন বলে জানান তারা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলরের ভাই লোকমান ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে মাটি নিয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ছয়বাড়িয়ার লোকজন একযোগে আমিনপুরের বাড়িঘর ও দোকানপাট হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমিনপুরের লোকজনও আত্মরক্ষায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও তার দুইভাইকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply