সিরাজগঞ্জে নিজ দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বহিষ্কার বিএনপি নেতা

|

সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে মাহমুদুল হাসান সজলকে (৩২) বহিষ্কার করা হয়েছে। শুত্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু স্বাক্ষরিত এক চিঠি দিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ২ জুলাই দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খন্দকার মাসুদ রানাকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও বেধরক মারপিট করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। একই ঘটনায় ৩ জুলাই তাকে শাহজাদপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ তাকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হলো।

সদ্য বহিষ্কৃত মাহমুদুল হাসান সজল বলেন, আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কোনো চিঠি পাননি বলে জানান তিনি। যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবি করে সজল জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রে আপিল করবেন তিনি।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সজল এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। তবে আগে মৌকিকভাবে সতর্ক করা হলেও দলীয় নীতিমালা মেনে কেন্দ্রের সাথে কথা বলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন হিরু ও শাহজাদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী সাকিক বলেন, প্রায় চার মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসুদ রানার সাথে সজলের বাকবিতণ্ডা হয়। জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপরও গত ২ জুলাই সজল ও তার লোকজন মাসুদ রানার ওপর হামলা করে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে আহত করেন।

প্রসঙ্গত, হামলায় গুরুতর আহত হলে মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আহত রানার মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে গত গত ৫ জুলাই সজলকে প্রধান আসামি করে আরও ১০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের ১০ দিন হয়ে গেলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান। আসামিরা আত্নগোপনে থাকায় তাদের গ্রেফতার করতে সময় লাগছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে দ্রুতই তাদের ধরে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস তার।

/এডিব্লউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply