সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ:
ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মামুনুলকে হাজির করা হয়।
আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি ও সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা রতন মিয়া। মামলার ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে ১২ জন সাক্ষ্য দিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মামুনুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য শেষে দুপুরেই তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, সাক্ষীরা ঘটনার দিন যা দেখেছেন আদালতকে সেটা জানিয়েছেন। সাক্ষীরা আদালতে বলেছেন, মামুনুল হক পুলিশের কাছে মামলার বাদীকে স্ত্রী পরিচয় দেন তবে জান্নাত আরা ঝর্ণা জানান, সে তার স্ত্রী নয়, মামুনুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। এর আগে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা, সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তকর্মীসহ সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনি সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান। তখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেপরোয়া ভাঙচুর চালান হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক যানবাহন। রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরার দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
/এডব্লিউ
Leave a reply