বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তার নিজস্ব সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অসহায় গরীব কৃষক খোরশেদ আলমের ক্রয়কৃত ১৯ শতক জমি জোর দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির মালিক খোরশেদ আলম।
অভিযোগে জানা যায়, খোরশেদ আলমের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল মোতালেব ও আবু কালামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। খোরশেদ আলমের ক্রয়কৃত ৩১ শতক বসতবাড়ির কিছু অংশ জোর দখলের চেষ্টা করে আসছিল প্রতিবেশী আব্দুল মোতালেব ও আবু কালাম। যার খতিয়ান নং- ১৪৮২, দাগ নং ৭০৪ ও ৯২৯।
জমির রেকর্ড ও প্রিন্ট পরচা সবই রয়েছে খোরশেদ আলমের। প্রতিবেশী আব্দুল মোতালেব ও আবু কালাম মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের শরণাপন্ন হয়। চেয়ারম্যান তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রোববার (১৭ জুলাই) সকালে খোরশেদ আলমের ১৯ শতক জমি দখল করে নেয়।
বর্তমানে দখল করা জমিতে পিলার পুঁতে রেখেছে। ১৯ শতক জমির কয়েক লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
চেয়ারম্যান খালেকের উপস্থিতিতে জমি দখলের সময় ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অংশ নেয়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে খোরশেদ আলম তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে নিজ ঘরে বন্দী অবস্থায় থাকেন।
খোরশেদ আলম বলেন, আমার কেনা রেকর্ড করা জমিতে গত ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। আমি গরীব ও অসহায় বিধায় প্রতিবেশী আব্দুল মোতালেব ও আবু কালাম জোর করে চেয়ারম্যান খালেকের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ১৯ শতক জমি জোর দখল করে নিয়েছে। আমি দ্রুত বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করবো। ঘটনার
সাথে যারা জড়িত তাদের শুষ্ঠু বিচার চাই।
চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক জানান, সব ঘটনা মিথ্যা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। তবে বিষয়টি আমার নজরে আসলে ন্যায় বিচার করা হবে।
/এনএএস
Leave a reply