পাওনা টাকা আদায়ে শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

|

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী নাইম।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে আবু নাইম (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে মোহাম্মদ মুন্নার বিরুদ্ধে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আখানগর ঝাড়গাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ জুলাই) রুহিয়া থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার নাইমের বাবা।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে আখানগর ইউনিয়নের গুঞ্জুরাহাট থেকে নাইমকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. বিপ্লব ঘটনাটি নাইমের বাবাকে জানালে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। ফোন পেয়ে রুহিয়া ঝাড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কমনরুম থেকে নাইমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার নাইম জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে গুঞ্জরহাট এলাকা থেকে দেলোয়ার ও তার ছেলে মুন্নাসহ আরও ৪-৫ জন তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্থানীয় ঝড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে সারারাত আটক করে রেখে মারধর করে। এ সময় বিভিন্ন হুমকি ধামকিও দেয়া হয় বলে জানান নাইম।

অভিযোগের বিষয়ে দেলওয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মুন্না জানান, বছর খানেক আগে তার বাবা নাইমকে ৪৫ হাজার টাকা সুদের উপর ঋণ দিয়েছিলেন। সেই টাকা নাইম পরিশোধ করছিল না। কয়েক দফা তাগাদা দেয়ার পরও কোনো সমাধান না আসায় সোমবার তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানান তিনি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যকে জানানো হয় বলেও দাবি তার। তবে নাইমকে মারধর করার অভিযোগটি অস্বীকার করেন তিনি।

কলেজ শিক্ষার্থী নাইমকে আটক ও নির্যাতনের ঘটনায় মঙ্গলবার রুহিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন তার বাবা তহিদুল ইসলাম। তহিদুল জানান, তার ছেলে নাইম পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে। তাকে দেলোয়ার কোন স্বার্থে একগুলো টাকা ধার দিয়েছে, কেনই বা দিয়েছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।

এ নিয়ে রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় বুধবার তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মুন্না ও রাজিউর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply