আজ আমাকে এমন কিছু চাইতে হচ্ছে যা চাওয়ার কথা আমি কখনও ভাবিনি। আমাদের অস্ত্র প্রয়োজন। বুধবার (২০ জুলাই) মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে একথা বললেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ওই দিনই ইউক্রেনে সামরিক টার্গেট বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভেরভের স্পষ্ট বার্তা, দোনবাসের বাইরেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানান স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ওলেনা জেলেনেস্কা। ১৫ মিনিটের ভাষণে তুলে ধরেন নিজ দেশের দুর্দশার কথা। হতাহত শিশুদের ভিডিও দেখান মার্কিন আইনপ্রণেতাদের। সাহায্য চান অস্ত্রের জন্য। ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি বলেন, যুদ্ধ শেষ হয়নি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছেই। রাশিয়া হাঙ্গার গেমস শুরু করেছে। এলেনা বলেন, আজ আমাকে এমন কিছু চাইতে হচ্ছে যা চাইবো বলে কখনও ভাবিনি। আমাদের অস্ত্র প্রয়োজন। অন্য কারো দেশ দখলের জন্য নয় বরং নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য।
ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি যখন অস্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ, রাশিয়া তখন ব্যস্ত নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, তাদের টার্গেট এখন দোনবাসের বাইরেও প্রসারিত হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমাদের ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহের কারণেই হিসেব পাল্টেছে মস্কো। পশ্চিমারা হাইমার্সসহ আরও দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। রাশিয়ার ভূখণ্ডের জন্য হুমকি তৈরি করলে লক্ষ্য আরও প্রসারিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ল্যাভরভ।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলছেন, রাশিয়ার নতুন টার্গেট সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলছেন, পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা আগেও বলেছি। দোনবাসে সামরিক অভিযান একটা অজুহাত মাত্র। তাদের লক্ষ্য আরও বড় এলাকার দখল নেয়া। ল্যাভরভ তা নিশ্চিতও করেছেন। আমরা এতে অবাক হইনি। বরং রুশ নাগরিকরা বিস্মিত হতেই পারেন যে তাদের নেতা পুতিন বারবারই মিথ্যা বলছেন।
ইউক্রেনের গোটা পূর্বাঞ্চলে যখন রুশ বাহিনীর আধিপত্য তখনও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এখনও পুরোপুরি দোনবাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি রাশিয়া। সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, হাইমার্সসহ উন্নত অস্ত্র সরঞ্জাম ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য পাচ্ছে কিয়েভ। যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনকে ৮শ কোটি ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
/এডিব্লউ
Leave a reply