মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্বামীর বাড়ি থেকে সুমি আক্তার (২২) নামে এক নববধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী জানান, দুপুরে এক আইনজীবী থানায় ফোন করে জানান, তার এক আত্মীয়কে ছেলের বউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য থানায় জিডি করা লাগতে পারে। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গেলে ফাঁকা বাড়ির একটি রুমে গৃহবধূ সুমি আক্তারের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
প্রতিবেশীরা বলছে, সকালে ওই বাড়িতে ঝগড়ার শব্দ পেয়েছেন তারা। দুপুরে রুপককে মোটরসাইকেলে তার মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। বাড়িটির আশপাশে লোকজনের যাতায়াত কম থাকায় কেউই বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। রুপক তার মাকে নিয়ে সাভারের একটি হাসপাতালে আছেন বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজুদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।
সুমি আক্তার একই ইউনিয়নের কাকজোর গ্রামের দিনমজুর রহম আলীর মেয়ে। দুই মাস আগে পারিবারিক ভাবে রূপক ও সুমির বিয়ে হয়। রূপক মানিকগঞ্জ জজকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসাবে কাজ করেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply