হার্ট প্রতিস্থাপন নিয়ে সুখবর দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী

|

হার্ট প্রতিস্থাপন নিয়ে সুখবর দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। মানব শরীরে সফলভাবে শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেছেন তারা। ওই অঙ্গ কাজও করছে স্বাভাবিকভাবে। এর মাধ্যমে হার্টের চিকিৎসায় নতুন দ্বার উম্মোচিত হবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। বলছেন, শূকরের উৎস টেকসই হলে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে ডোনারের অভাবে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। খবর এপির।

দীর্ঘ অস্ত্রোপচার শেষে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হলো হার্ট। স্বাভাবিক ট্রান্সপ্লান্ট নয়, মানুষের শরীরে শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপন করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

হার্ট প্রতিস্থাপন করতে না পেরে প্রতিবছর লাখো মানুষের মৃত্যু হয় বিশ্বে। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে অভাবনীয় এক বিকল্প উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। মানবশরীরে সফলভাবে শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপনের দাবি তাদের। ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মানুষের স্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের মতোই সাড়া দিচ্ছে এটি।

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জিক্যাল ডিরেক্টর নাদের মোয়াযামি বলেন, প্রতিস্থাপিত হার্ট একদম ঠিকঠাকভাবে কাজ করছিল। শুধু অস্ত্রোপচারের সময় শুকরের হার্টের কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনো যন্ত্র বা ওষুধ ব্যবহার না করে প্রতিস্থাপন পদ্ধতি শেষ করা। আর এটাতে অবশেষে আমরা সফল হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা লম্বা সময় ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছি। পরীক্ষাগারে শূকরের হার্টের বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ মানুষের হার্টের তুলনায় এটি আকারে কিছুটা ছোট।

মানব শরীরে শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গেল জানুয়ারিতে ৫৭ বছর বয়সী জীবিত এক ব্যক্তির শরীরে শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেন মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। তবে দুই মাসের মাথায় মৃত্যু হয় সে গ্রহীতার।

বিজ্ঞানীদের দাবি, শূকরের শরীরে থাকা এক প্রকার জীবাণু সংক্রমিত করার ফলে মারা যান তিনি। তাই গবেষণাগারে জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এবার শূকরের হার্টে নানা পরিবর্তন আনে মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান রেভিভিসোর।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply