ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করলো রাশিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশ কর্মকর্তারা প্রথমে অস্বীকার করলেও রোববার (২৪ জুলাই) রুশ পররাষ্ট্র মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ওডেসা বন্দরে বেসামরিক অবস্থানে না বরং ইউক্রেনের সামরিক নৌযানের ওপরই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি নৌযানের পাশাপাশি নৌযানের পাশাপাশি আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্রের গুদামেও আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার এ হামলা চালানো হয়। রবিবার এক টেলিগ্রাম পোস্টে জাখারোভা বলেন, কালিবর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওদেসা বন্দরের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।

রোববার (২৪ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, দুই দিন আগেই তুরস্কের মধ্যস্থতায় ওডেসা বন্দর ব্যবহার করে শস্য রফতানির চুক্তিতে স্বাক্ষর করে রাশিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, রফতানি কার্যক্রম চলাকালীন রাশিয়া কোনো হামলা চালাতে পারবে না। এরপরও হঠাৎ এমন হামলা চালানোয় কঠোর সমালোচনার মুখে এখন রুশ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে দুটি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ওডেসা বন্দরের অবকাঠামোতে আঘাত হানে। তবে প্রথমে হামলার অভিযোগটি কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে রুশ কর্তৃপক্ষ।

হামলার পরপরই দেয়া এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেন, রুশ কর্মকর্তারা আঙ্কারাকে জানিয়েছেন যে ওডেসা বন্দরে হামলার সাথে রাশিয়া জড়িত নয়। মস্কো ওই হামলার ব্যাপারে তদন্ত করে আঙ্কারাকে বিস্তারিত জানাবে বলেও কথা দিয়েছে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে এর ঠিক পরেরদিনই এ হামলার দায় স্বীকার করে রাশিয়া বলেছে, ওডেসায় সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।

রুশ সংসদ সদস্য ইউগনি পুপভ বলেন, ওডেসায় মূলত ইউক্রেনীয় সামরিক ঘাঁটিই ছিল লক্ষ্যবস্তু, শস্যবাহী কোনো জাহাজে হামলা চালানো হয়নি। ওডেসা থেকে শস্য রফতানিতে কোনো ধরনের বাধা দেয়া হবে না। তুরস্কে স্বাক্ষরিত শস্য চুক্তি রাশিয়া পুরোপুরি মেনে চলবে বলেও জানান এ রুশ সংসদ সদস্য।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন বর্তমান সময়ের শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশ। বিশেষ করে, গমের জন্য আফ্রিকার দেশগুলো সাধারণত রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল। তবে রুশ অবরোধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরগুলোয় প্রায় দুই কোটি টন বিভিন্ন ধরনের শস্য আটকে আছে। ফলে আফ্রিকাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্যঘাটতি, সেই সাথে বেড়েছে দাম। এ পরিস্থিতিতেই গত শুক্রবার (২২ জুলাই) শস্য রফতানিতে বাধা দূর করতে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি চুক্তি করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply