হলিউড বক্স অফিসে ‘থর’ রাজত্ব

|

ছবি: সংগৃহীত

মারভেল কমিকসের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র ‘থর’; গত ৮ জুলাই মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির নতুন কিস্তি ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’। যা মুক্তির এক সপ্তাহে ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় ঘরে তুলে নিয়েছে এ সিনেমা। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সিনেমার এমন সাফল্যে আনন্দিত প্রযোজক-নির্মাতা ও ভক্তরা।

‘থর’র প্রথম সিক্যুয়েল মুক্তি পেয়েছিলো ২০১১ সালে। দুইবছর পর মুক্তি পায় তার সিকুয়েল ‘থর: দ্য ডার্ক ওয়ার্ল্ড’। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘থর: র‍্যাগনারক’। তার পাঁচ বছর পর আসলো ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’। এ সিনেমার বাজেট ছিলো ২৫০ মিলিয়ন ডলার। বক্স অফিসে ইতোমধ্যে সে বাজেট ছাড়িয়ে আয় এসেছে প্রথম কয়েকদিনেই। মুক্তির শুরু থেকেই ভালো আয় করছে ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’। দ্বিতীয় সপ্তাহেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে সিনেমাটি। মুক্তির পর দ্বিতীয় শুক্রবার সিনেমাটি আয় করেছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। যদিও প্রথম শুক্রবারের তুলনায় এ আয় মাত্র ২০ শতাংশ, কিন্তু বক্স অফিসে অন্যান্য সিনেমার তুলনায় এগিয়ে থর।

গত মে মাসে মুক্তি পাওয়া ডক্টর স্ট্রেঞ্জ: ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেসের আয় দ্বিতীয় সপ্তাহেই পড়ে গিয়েছিল ৮১ শতাংশ। স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোমের আয় কমেছিল ৮৪ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, ‘থর’ এর নতুন কিস্তি আনুমানিক ৪ হাজার ৩৭৫টি হল থেকে মোট আয় করবে সাড়ে ৪ কোটি ডলার!

সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডারের আয় হতে পারে প্রায় ২৩ কোটি ডলার। সে হিসেবে সিনেমাটি হবে বছরের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিনেমা। এ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ‘হয়্যার দ্য ক্রডাড সিং’। মার্ডার মিস্ট্রি জনরার সিনেমাটি সপ্তাহান্তে দেড় কোটি ডলার আয় করতে পারে বলে ধারণা করছেন বক্স অফিস বিশ্লেষকরা। তবে সমালোচকরা সিনেমাটি খুব একটা পছন্দ করেননি। রটেন টমেটোজে রেটিং পেয়েছে মাত্র ৩৮ শতাংশ।

স্যামুয়েল জ্যাকসন অভিনীত ‘পওস অব ফিউরি: দ্য লেজেন্ড অব হ্যাঙ্ক’ সাড়া ফেলতে পারেনি। সাড়ে তিন হাজার স্ক্রিন থেকে ৬০ লাখ ডলারের কিছু বেশি আয় করতে পারে এটি। এদিকে দর্শকরা এখনও ‘মিনিয়নস: দ্য রাইজ অব গ্রু’ ও থর দেখতেই বেশি আগ্রহী। মিনিয়নস তৃতীয় সপ্তাহেও প্রায় আড়াই কোটি ডলার আয় করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে থামছে না টপ গান ম্যাভেরিকের জয়যাত্রা। অষ্টম সপ্তাহে এসেও সিনেমাটি ১ দশমিক ১ কোটি ডলার আয় করে নিতে পারে বলে ধারণা।

থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও আয়ের ক্ষেত্রে তা খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। রাসেল ক্রো, নাটালি পোর্টম্যান, ক্রিস হেমসওয়ার্থকে নিয়ে লঘু ধারার যে গল্পটি টাইকা ওয়াইটিটি এনেছেন দর্শক তা একাধিকবারই দেখেছেন। ফলে বক্স অফিসে এই সিনেমার জয়রথ কতদূর গিয়ে থামে, সেটাই এখন দেখার পালা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply