লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক পলাশ হত্যা মামলায় দু’জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

|

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক শাহ মনির পলাশকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই আসামির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অনাদায়ে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জেলা জজ আদালতের সরকারি পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শাহ মনি পলাশ সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিম নগর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলামের ছেলে। মৃত্যু কালে তার বয়স ছিল ২৫ বছর। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। তরণ এই সাংবাদিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক রূপবাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবু ইউসুফ ও আবু ছায়েদ দুই সহোদর ভাই। তারা মাছিমনগর গ্রামের ফকির বাড়ির আখতারুজ্জামানের ছেলে। এদিকে আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট পলাশের পরিবারের সদস্যরা। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবার কথা জানান।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পলাশদের বাগানের গাছ কেটে নেয়ার চেষ্টা করে তার দুই জেঠাতো ভাই আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ। এ সময় তার পিতা মনিরুল ইসলাম অভিযুক্তদের বাধা দিতে গেলে তাদের সাথে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এ সময় তার বাবা মনিরকে ইট নিক্ষেপ করে চাচাতো ভাইয়েরা। একপর্যায়ে তিনি ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যান। ঘটনাটি দেখেই দৌড়ে গিয়ে বাবাকে মাটি থেকে তুলছিল পলাশ। হঠাৎ পেছন থেকে লাঠি দিয়ে পলাশের মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে তার মৃত্যু হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় নিহত পলাশের পিতা মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় আবু ইউসুফ, আবু ছায়েদ ও ফয়জুন্নেছাকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আবু ইউসুফ কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি আবু ছায়েদ জামিনে ছিলেন। একই বছরের ৭ অক্টোবর সদর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আবু ইউসুফ ও আবু ছায়েদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ৩য় আসামি ফয়জুন্নেছাকে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজ এ রায় দেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply