৭৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ইন্টারসেকশন। এটি চালু হলে উত্তরবঙ্গসহ ২২ জেলার যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন হবে। অবসান হবে যানজটের ভোগান্তি। তবে অধিগ্রহণ করা জমি ও স্থাপনার প্রকৃত মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ইন্টারসেকশন নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরের আশপাশে ৯০০ মিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত হবে ইন্টারসেকশন। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় জমি বেচাকেনা। এরপর অধিগ্রহণ আইনের ৪ ও সবশেষ ৭ ধারায় নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাতে জমি ও স্থাপনার যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা নিয়ে হতাশ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন জমির মালিকরা। সেখানে তারা তুলে ধরেছেন ৩ দফা দাবি। তা মানা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তাদের দাবি, যে দাম নির্ধারিত হয়েছে তার ২ কিংবা তিনগুণ মূল্য দিলেও প্রকৃত মূল্য পাওয়া যাবে না। হাওড়াঞ্চলের জমির দাম অনুযায়ী এই জমির মূল্য নির্ধারিত হয়েছে বলেও দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
এ নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন বলছে, স্থাপনার মূল্য নিয়ে কাওকে বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ থাকলে তা জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন বলেন, এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইন এখানে স্পষ্ট। প্রতিটি বাড়ি ও গাছপালার দাম ধরা আছে। যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে তা সুস্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
এসজেড/
Leave a reply