ফেনীতে প্রায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফেনী:

ফেনীতে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৩শ’ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেনী ব্যাটালিয়ন। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বিজিবির জায়লস্কর সদর দফতরে মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংস করা হয়।

বিজিবি জানায়, গত ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ হতে ৩০ জুন ২০২২ তারিখ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ হাজার ৩শ’ ৬৪ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬শ’ টাকা; ১৯ বোতল ভারতীয় ইস্কপ সিরাপ, যার আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার ৬শ’ টাকা; ৬শ’ ৮৮ ভারতীয় বিয়ার ক্যান-বোতল, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা; ১৩ হাজার ২শ’ ১১ বোতল ভারতীয় হুইস্কি, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯৮ লাখ ১৬ হাজার ৫শ’ টাকা; ১৫.৫ কেজি ভারতীয় গাঁজা, যার আনুমানিক মূল্য ১৮ লাখ ৪ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা; ১৬ হাজার ৪শ’ ৭৯ পিস ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট, যার আনুমানিক মূল্য ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ’ টাকা।

বিজিবি আরও জানায়, ১৩ লাখ ৮৩ লাখ ৬শ’ ৬২ পিস ভারতীয় সেনেগ্রা টার্গেট ও অন্যান্য নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, যার আনুমানিক মূল্য ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ২শ’ টাকা; ৩৯.৫ লিটার বাংলা মদ, যার মূল্য ১১ হাজার ৮শ’ ৫০ টাকা এবং ৯ বোতল রিকোডেক্স সিরাপ যার মূল্য ৩ হাজার ৬শ’ টাকা। এ সময় সর্বমোট ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৩শ’ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজাম হাজারী বলেন, যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের কাউকে আওয়ামী লীগের পদ পদবিতে রাখা হবে না। মাদক দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু। মাদকের ব্যাপারে কোনো আপোষ নেই।

কুমিল্লা সেক্টর সদর দফতরের সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক কর্নেল মো. মারুফুর আবেদীন বলেন, আজ প্রায় ১৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। এই টাকা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে গেছে। যে পরিমাণ মাদক ধ্বংস করা হয়েছে তার কয়েকগুণ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সেক্টর সদর দফতরের সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক কর্নেল মো. মারুফুর আবেদীন, ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলাম, উপ-অধিনায়ক মেজর মো. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলীউজ্জামান, ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্যাহ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply