তেল সংক্রান্ত গুজব নিয়ে যা জানালো জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ

|

ছবি: সংগৃহীত

জ্বালানি তেল সংক্রান্ত গুজব সম্পর্কে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৭ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু তুলে ধরা হলো, একটি স্বার্থান্বেষী মহল, জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বলছি যে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানিসমূহের ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।

বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই। ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপ লাইনে আছে।

আমাদের বর্তমানে ৪৩১,৮৩৫ মেট্রিকটন ডিজেল মজুদ রয়েছে। দৈনিক গড় বিক্রয় ১৩,৬০৭ মেট্রিকটন হিসেবে ৩২ দিনের; জেট-এ-১ মজুদ রয়েছে ৪৪ দিনের ও ফার্ণেস ওয়েল মজুদ রয়েছে ৩২ দিনের। অর্থাৎ আমাদের মজুদ সক্ষমতা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।

পেট্রোল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনের প্রায় ৪০ ভাগ বাংলাদেশ উৎপাদন করে। জুলাই ২০২২ মাসে ৯টি জাহাজ হতে ইতোমধ্যে ২৫৫,০০০ মেট্রিকটন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩,০০০ মেট্রিকটন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ হতে ২৪,৬৭৭ মেট্রিকটন অকটেন এবং ২টি জাহাজ হতে ৫৩,৩৫৮ মেট্রিকটন ফার্ণেস ওয়েল গ্রহণ করা হয়েছে। আগস্টে ৮টি জাহাজে ২১৮,০০০ মেট্রিকটন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫,০০০ মেট্রিকটন জেট-এ-১, ১টি জাহাজে হতে ২৫,০০০ মেট্রিকটন অকটেন আসবে।

আগামী ছয় মাসের আমদানি পরিকল্পনানুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকী ৫০ ভাগ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহকৃত জ্বালানি তেল ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply