সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে: বন বিভাগ

|

ছবি: সংগৃহীত।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিশ্ব বাঘ দিবস। নানা আয়োজনে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে দিবসটি পালিত হয়েছে। র‍্যালিসহ দিনটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত আলোচনা সভায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাঘের পায়ের ছাপ ও চলা ফেরার ধরণ দেখে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বে এরই মধ্যে চার প্রজাতির বাঘ বিলুপ্ত হয়েছে বলেও জানানো হয় এই আলোচনা সভায়।

শুক্রবার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন। সভায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮ সালের সবশেষ গণনায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ২০১৫ সালে ছিল ১০৪টি বাঘ। এ বছর আবারও বাঘ গণনার সম্ভাবনা রয়েছে। বাঘের পায়ের ছাপ, চলাফেরায় ধারণা করা হচ্ছে, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি অ্যান্ড উভ টেনকোনলজি ডিসিপ্লিন অধ্যাপক ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম জানান, বর্তমানে বাঘ মহাবিপন্ন একটি প্রাণী। বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে সব মিলিয়ে ৩৯০০টি বাঘ রয়েছে। বাঘের নয়টি প্রজাতির মধ্যে চারটি প্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পৃথিবী থেকে গত ১০০ বছরে শতকরা ৯৫ ভাগ বাঘ হারিয়ে গেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাঘের আবাসস্থলের ক্ষয়ক্ষতি সাধন।

আলোচনা সভায় সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও হরিণ শিকার বন্ধের ওপরও গুরুত্ব দেন বক্তারা। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য বন বিভাগ ও প্রশাসনকে জানাতে হবে বলেও দাবি করেন তারা। এছাড়া উপকূলবর্তী মানুষদের সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। সুন্দরবনের ক্ষতিসাধনে এটি অন্যতম আরেকটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তারা।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের বহু দেশ বাঘকে কেন্দ্র করেই সুন্দরবনকে চেনে। আবার সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে চেনে। সে কারণে বাঘ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার।

এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি
ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজা রশীদ। বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হুসাইন চৌধুরী।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply