রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিক্তা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী আবদুল্লাহ ইশতিয়াক ওরফে রাব্বিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার বাদী হয়ে মতিহার থানায় রাব্বিকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। অবশ্য মামলার আগেই রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ছাত্র।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জানালার গ্রিলে ফাঁস দেন ওই তরুণী। পরে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রিক্তা কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে এবং রাব্বি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা। গত আট বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক থাকার পর আড়াই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সেসময় থেকে তারা দুজনে রাজশাহী নগরীর ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সহপাঠীরা জানিয়েছে, কিছুদিন থেকে রিক্তা ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অন্য কারো সাথে কথা বলতো। এ নিয়ে স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হয় তার। শুক্রবার বিকেলেও তাদের কথা কাটাকাটি হয়। রিক্তার পরিবারও জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই রিক্তার স্বামীর পরিবারের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল না। মেয়ের খরচও বহন বহন করতেন তারা। তবে রাব্বির পরিবার বলছে, ভালো ছিল তাদের সর্ম্পক, কোনো মনোমালিন্য ছিল না।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার আলী তুহিন জানান, শুক্রবার রাতে নিজ ঘরের জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস লাগায় রিক্তা। এসময় একই ঘরের বিছানায় ঘুমাচ্ছিলেন রাব্বি। এ ঘটনায় মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এখন তারা ঘটনা তদন্ত করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি আরও ভালোভাবে জানা সম্ভব হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
/এডব্লিউ
Leave a reply