নাজমুল হোসেন শান্ত যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন যেন অলিখিতভাবেই বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে ম্যাচটি পরিণত হয়ে নুরুল হাসান সোহান বনাম জিম্বাবুয়েতে। আর সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক সোহান লড়াই করেও পারলেন না দলের পরাজয় ঠেকাতে। নতুন অ্যাসাইনমেন্টে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের ঘোষণা দিয়েও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের কাছে ১৭ রানের পরাজয়ে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩২ রান। কিন্তু বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান, আর টাইগাররা হারায় মোসাদ্দেকের উইকেট। তাই শেষ ওভারে অনেকটাই অসম্ভব লক্ষ্যের দিকেই যাত্রার চেষ্টা করেন নুরুল হাসান। তবে পৌঁছুতে পারেননি গন্তব্যে। শেষ পর্যন্ত ১৭ রান দূরে থাকতেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের দেয়া ২০৬ রানের টার্গেটে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে সর্বসাকুল্যে ১৮৮ রান তুলতে পেরেছে সোহানের দল।
২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা যেমন হওয়ার কথা ছিল, মুনিম শাহরিয়ারের বিদায়ে তেমনটি পায়নি বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে রানের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছিলেন লিটন। ৭ ওভারে ৬৩ রানের মাথায় অদ্ভুতুড়ে উপায়ে আউট হন লিটন। বালখিল্য ভুলের মাশুল গুণে দারুণ খেলতে থাকা লিটন আউট হলেন ১৯ বলে ৩২ রান করে। এরপর রানের গতি বাড়তে গিয়েই টাইমিংয়ে গণ্ডগোল করে ২৬ রানে আউট হন এনামুল বিজয়। আফিফ ফিরে যান মাত্র ১০ রান করে। তবে নুরুল হাসান সোহান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে অবিশ্বাস্য জয়ের স্বপ্ন উঁকিঝুঁকি মারছিল বাংলাদেশি সমর্থকদের চোখে। কিন্তু ৩৭ রানের শান্তও আউট হলে সেই স্বপ্ন যেন অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত ১ বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৬ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া শান্ত ৩৭ ও লিটন দাস করেন ৩২ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২ উইকেট নেন লুক জঙ্গি।
এর আগে, হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টস জিতে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলে জিম্বাবুয়ে। ৯টি চারের সাহায্যে ৪৬ বলে ৬৭ রান করে আহত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাধেভেরে। আর মোস্তাফিজ-শরিফুলদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। এই ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছয়। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ এটি।
/এম ই
Leave a reply