মীরসরাই ট্র্যাজেডিতে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ৭ জন এখনও কাতরাচ্ছে হাসপাতালে। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুরোপুরি সংজ্ঞা ফেরেনি আরও চারজনের। একদিকে ভয়াল সে দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি, অন্যদিকে সন্তানের দুরবস্থা সব মিলিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে পরিবারের সদস্যরা।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার দু’দিন পরেও পুরোপুরি সংজ্ঞা ফেরেনি আয়াত, সৈকত, হৃদয় ও তাসমীরদের। মাঝে মধ্যে জ্ঞান ফিরলেও কেউই এখনও জানে না তাদের বন্ধু, সহপাঠী ও শিক্ষকদের অন্তিম পরিণতির কথা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন মাইক্রোবাসটির হেলপার তৌকির ইবনে শাওন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পা ভেঙে গেছে তার, ঘাড়েও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন শাওন। হাসপাতালে ভর্তি ৫ জনের মধ্যে তাসমির হাসানকে স্থানান্তর করা হয়েছে আইসিইউতে। চিকিৎসকরা বলছেন, ইমন ছাড়া আহত প্রত্যেকের আঘাত গুরুতর।
চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগীয় প্রধান ডা. নোমান খালেদ বলেন, ৫ জনের মধ্যে দুই জনের ঘাড়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এরমধ্যে একজনের ঘাড়ে যে আঘাত তার জন্য তার হাত ও পায়ে কোনো সাড় নেই। এটি যদি শক না হয়ে থাকে তবে তার হাত-পা প্যারালাইসিস হয়ে গেছে এটা ধরে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস আরোহী ১১ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হন ৭ জন। চালক এবং হেলপার ছাড়া বাকিরা সবাই হাটহাজারির আমানবাজারের এনজে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
এসজেড/
Leave a reply