মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল কায়েদা প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি। সোমবার (২ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি একটি নির্ভুল অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলাম যা আল কায়েদা প্রধানকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সর্বদা দূরে রাখবে। খবর সিএনএনের।
ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৭১ বছর বয়সী আইমান আল জাওয়াহিরি ছিলেন আল কায়েদা গ্রুপের প্রতীকস্বরূপ। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পরিবারের সাথে বাস করছিলেন জাওয়াহিরি। তাকে হত্যার জন্য পেন্টাগন ব্যবহার করেছে দুটি হেলফায়ার মিসাইল, এমনটি জানিয়েছেন বাইডেন। এই মিসাইল হামলার সময় আফগানিস্তানে কোনো মার্কিন যোদ্ধা অবস্থান করছিলেন না বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
জো বাইডেন বলেন, ৯/১১’র সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জাওয়াহিরি; যে হামলায় মৃত্যুবরণ করেন ২ হাজার ৯৭৭ জন মানুষ। এবার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসবাদী নেতা আর বেঁচে নেই। বিশ্ববাসীকে আর এই দুশ্চরিত্র ও ভয়ঙ্কর খুনিকে ভয় পেতে হবে না। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সংকল্প ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে চলবে।
জো বাইডেন যোগ করেন, আমরা আজ রাতে আবারও পরিষ্কার করে দিচ্ছি, যত সময়ই লাগুক না কেন, আপনি যেখানেই লুকিয়ে থাকুন না কেন, আপনি যদি আমাদের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে থাকেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: কোন মার্কিনি গোপন অস্ত্রে প্রাণ গেলো আল কায়েদা প্রধানের?
/এম ই
Leave a reply