ইনিংসের মাঝপথে কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি যে, বাংলাদেশি ব্যাটারদেরও পরীক্ষায় বসতে হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। স্পিনারদের দাপটে বাংলাদেশের আধিপত্যকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়িয়ে দিয়ে দলকে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিয়েছেন রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গুয়ে। সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৫৭ রান।
জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার রেজিস চাকাভা ও ক্রেগ আরভিন দলকে এনে দেন ভালো সূচনা। ৩ ওভারে ২৯ রান আসার পর নাসুম আহমেদের বলে আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন চাকাভা। ১০ বলে ১৭ রান করেন তিনি। এরপর আক্রমণে এসে ওয়েসলি মাধেভেরেকে বোল্ড করেন মেহেদী। চারে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের তালুবন্দি হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিকান্দার রাজা।
এরপর শন উইলিয়ামসকে ডিপ মিড উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত করে আঘাত হানেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর স্বাগতিক দলের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে সবচেয়ে বড় কাঁটাকেই উপরে ফেলেন এই ম্যাচে দলে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের অর্ধেকেই স্বাগতিকদের বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্নে বড়সড় ধাক্কাই দেয় টাইগাররা।
কিন্তু বাকি অর্ধেক সময়ে খেলার ধারা একেবারেই পাল্টে ফেলেন রায়ান বার্ল, আর সেটাও ঘটে মূলত এক ওভারেই। নাসুম আহমেদের ১ ওভারে ৫টি ওভার বাউন্ডারি ও ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রান তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আর এর মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ৩ নম্বরে চলে এলেন রায়ান বার্ল। ২ চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৫৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে হাসান মাহমুদের বলে সাজঘরে ফেরেন বার্ল।
তবে, বার্লের দাপটে অনেকটাই আড়ালে চলে গিয়েছেন লুক জঙ্গুয়ে। ৪টি চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৩৫ রান করা এই ব্যাটার বার্লের সাথে ৩১ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের বদৌলতেই বাংলাদেশের সামনে সম্মানজনক টার্গেট ছুঁড়ে দিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান নেন দুটি করে উইকেট। ভুলে যাওয়ার মতো এক ম্যাচ খেলা নাসুম আহমেদ ১টি উইকেট নিলেও ২ ওভারে হজম করেছেন ৪০ রান; যার মাঝে ৩৪ রানই এসেছে কেবল এক ওভারে।
আরও পড়ুন: ৫টি ছয় ও ১ চারে নাসুমের ওভারে বার্লের ৩৪ রান!
/এম ই
Leave a reply