২০১৮ সালে ব্রাজিলের প্রত্যন্ত এলাকায় জন্ম হয় বার্নার্দো ও আর্থারের। জন্মের সময় থেকেই যুক্ত ছিল দু’জনের মস্তিষ্ক। বহু চিকিৎসকই তাদের আলাদা করা যাবে না বলে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত আশার আলো দেখায় ইংল্যান্ডের জেমিনি আনটুইনড। ২০১৮ সালে জোড়া শিশুদের আলাদা করায় সহায়তার জন্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন চিকিৎসক নূর উল ওয়েস জিলানি। রিও ডি জেনিরোর পাওলো নিয়েমেয়ার স্টেট ব্রেইন ইন্সটিটিউটে হয় অস্ত্রোপচার। তত্ত্বাবধায়নে ছিল লন্ডনের গ্রেট অরমোন্ড স্ট্রিট হসপিটাল। শেষ পর্যন্ত জন্মের প্রায় ৪ বছর পর একে অপরের চেহারা দেখতে পেলো দুই ভাই।
মোট ৬টি অপারেশনের পর আসে চূড়ান্ত অস্ত্রপোচারের মুহূর্ত। রিও ডি জেনিরোর হাসপাতালটির প্রতিটি কর্মী সেদিন প্রার্থনা করেছিলেন বার্নার্দো-আর্থারের জন্য। বাবা-মায়ের আবেগ স্পর্শ করেছিল সবাইকে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অপারেশনে অংশ নেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। টানা ২৭ ঘণ্টা পর আসে সাফল্য। আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন চিকিৎসক-নার্সরা।
হাসপাতালের নিউরো সার্জন গ্যাব্রিয়েল মুফাররজ বলেন, শিশুদের মায়ের সাথে কথা বলে বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস ছিল আমরা ওদের আলাদা করতে পারবো। একটা প্রবাদ আছে, যখন ১ শতাংশ সম্ভাবনাও থাকবে তখন ৯৯ শতাংশ বিশ্বাস ধারণ করতে হবে। আপাতত ছয় মাস হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে থাকবে তারা।
শিশুদের মা বলেছেন, গত কয়েকদিন মনের উপর দিয়ে কী যে বয়ে গেছে! সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে প্রতি ৬০ হাজারে জোড়া লাগানো যমজ জন্মের হার একটি। এর মধ্যে জোড়া মাথার যমজ শিশুর হার ৫ শতাংশ।
সূত্র: আরব নিউজ।
জেডআই/
Leave a reply