বাংলাদেশ কি টি-টোয়েন্টিতে আদৌ কিছু শিখছে?

|

ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২-১’এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নগুলো বড় হচ্ছে আরও। বিপিএলে অপেশাদারিত্ব ও মানহীন খেলার ফল পাচ্ছে জাতীয় দল। প্রশ্ন উঠছে তাই অবধারিতভাবে, বাংলাদেশ কি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আদৌ কিছু শিখছে! আর না শিখলে কবে থেকে হবে সেই শেখার শুরু?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ১০টি। পাকিস্তানের সঙ্গে ঘরের মাঠে হার ৩-০ তে, আগে ব্যাট করে এক ম্যাচেও পার হয়নি ১৩০। একই চিত্র আফগানদের সাথে ১-১’এ সমতার সিরিজেও। ২ ম্যাচের গড় রান মাত্র ১৩৬। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাত্রা করে ২ ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে দুইভাবে; ১৯৪ রান তাড়া করতে যেয়ে ৩৫ রানে এবং ১৬৪ রান ডিফেন্ড করতে যেয়ে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। প্রতি সিরিজেই পাওয়ারপ্লেতে উইকেট হারানোর গড় ২ থেকে ৩।

একই ছবি দেখা গেছে জিম্বাবুয়েতেও। ২০৬ এবং ১৫৭ রানের লক্ষ্য পাওয়া দুই ম্যাচেই টাইগারদের কপালে জুটেছে হার। লক্ষ্যভেদ হয়েছে কেবল ১৩৬ রানের টার্গেটে ম্যাচ জিতে।

মোটা দাগে গত ১০ ম্যাচে পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের গড় ৪১ রান। স্কোরিং রেট ৬.৮৩। ডট বলের সংখ্যা ১৬।
৭ থেকে ১৫ অর্থাৎ মিডল ওভারে গড় রান ৬১। স্কোরিং রেট ৬.৭৭। ডট বল ১৮টি। ডেথ ওভারগুলোতে সোহান-আফিফরা গড়ে তুলতে পেরেছে ৪০ রান। স্কোরিং রেট ৮। এই জটিল অংকের সারসংক্ষেপ দাঁড়ায়, ১০ ম্যাচে ব্যাটিং ইনিংসের গড় ৬ উইকেটে ১৪২। ইনিংস প্রতি ডট খেলার সংখ্যা ৪২। হিসেবটাকে আরও সরল করে বললে, শেষ ১০ ম্যাচে ৮ পরাজয়ের বড় কারণ মিডল ওভারগুলোতে বাংলাদেশের শম্বুক গতির ব্যাটিং।

‘দ্য ওয়াল’ খ্যাত ভারতীয় কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় একবার একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আপনি ৩০টা ম্যাচ খেলেছেন তার মানে এই না যে আপনি ৩০ ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়। আপনি যদি প্রতিটা ম্যাচ থেকে কিছু না কিছু শিখতে না পারেন, তাহলে আপনি ৩০০ ম্যাচ খেললেও আপনার অভিজ্ঞতা প্রথম দিনের মতোই।

ক্রিকেট ভক্তদের মনে প্রশ্ন একটাই, বিশ্বজোড়া ক্রিকেট পাঠশালার টি-টোয়েন্টিতে এতদিন পরে আমরা ঠিক কেমন ছাত্র!

আরও পড়ুন: ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ভাঙ্গাগড়া; ভুবি হতে পারেন অটোমেটিক চয়েস

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply