সামরিক শক্তিতে চীনের চেয়ে কতটা পিছিয়ে তাইওয়ান?

|

একদিকে পরমাণু শক্তিধর, অন্যদিকে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও শীর্ষে চীন। চীনের তুলনায় সামরিকভাবে কম সুগঠিত হলেও একেবারে দুর্বল নয় তাইওয়ান। জল, স্থল আর আকাশ প্রতিরক্ষায় পশ্চিমা সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত দেশটি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, সামরিক ব্যয়ে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান দ্বিতীয়। সবশেষ অর্থ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে দেশটির ব্যয় ২৫২ বিলিয়ন ডলার। সে তুলনায় তাইওয়ান খরচ করেছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার। আর চীনের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা প্রায় ১২ গুণ।

চীনের সামরিক শক্তির মেরুদণ্ড মনে করা হয় দেশটির নৌশক্তিকে। ৭৭৭টি নৌবহরে রয়েছে ৩টি বিমানবাহী রণতরী, ৭৯টি সাবমেরিন আর আড়াইশর বেশি যুদ্ধজাহাজ। আর সেখানে তাইওয়ানের নৌবহর ১৭৭টি। যেখানে সাবমেরিনসহ যুদ্ধজাহাজ আছে ৭০টির মতো।

এফ-সিক্সটিন এবং মিরেজের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষার মূল শক্তি। দেশটির বহরে রয়েছে ২৮৮টি যুদ্ধবিমান। চীনের যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ১২শর মতো। যেখানে রয়েছে চেংদু জে-টুয়েন্টি আর সুখোই থার্টি ফাইভ এস-এর মতো ৫ম প্রজন্মের আধুনিক যুদ্ধবিমান।

শুধু আকাশ আর জলেই নয়, স্থলেও সামরিক শক্তিতে উল্লেখযোগ্য চীন। ৫ হাজার ৮শর বেশি বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং কামান নিয়ে গঠিত চীনের আর্টিলারি ডিভিশন। অন্যদিকে তাইওয়ানের এ সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি।

চীনের পদাতিক বাহিনীর অন্যতম শক্তি সাজোয়া যান আর ট্যাংক। চল্লিশ হাজারের বেশি সাজোয়া যান আর ট্যাংক নিয়ে গঠিত আর্মার্ড ডিভিশন। আর তাইওয়ানে এ সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের মতো।

আর এছাড়া, ধারণা করা হয় পরমাণু শক্তিধর চীনের কাছে রয়েছে ২৮০টির মতো পরমাণু অস্ত্র।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply