স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাত দলের আরও ২ সদস্য মো. আব্দুল আউয়াল ও নুরনবীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় নুরনবীর কাছ থেকে ডাকাতির সময় ছিনিয়ে নেয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, রিমান্ডে থাকা আসামি রাজা মিয়ার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভোর ৫টার দিকে কালিয়াকৈরের টান সূত্রাপুর এলাকা থেকে আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টার দিকে নুরনবীকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় নুরনবীর কাছ থেকে ডাকাতির সময় ছিনিয়ে নেয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আউয়াল (৩০) কালিয়াকৈরের কাঞ্চনপুর গ্রাম ও নুরনবী (২৬) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধোনারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। শনিবার (৬ আগস্ট) তাদের আদালতে নেয়া হবে এবং আরও তথ্যের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে লুট করা ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এরইমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজা মিয়াকে আদালতে তোলা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজা মিয়া টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের বাসিন্দা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের বাস সার্ভিস ঝটিকা পরিবহনের একজন চালক।
পুলিশ জানায়, বাস ডাকাতির শুরুতে ঈগল পরিবহনের বাসটির চালককে সরিয়ে নিজে বাসটি চালানোর দায়িত্ব নেয় রাজা। পরে ভোররাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় যাত্রীসহ বাসটি ফেলে দিয়ে ডাকাতির মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতি ও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মধুপুর থানায় মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে।
/এসএইচ
Leave a reply