বাংলাদেশের বোলারদের নখদন্তহীন বোলিং ও উদার মানসিকতার ফিল্ডিংয়ে রানের পাহাড়ও অনায়াসে টপকে গেল জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজার শক্ত শাসনের সাথে এই ম্যাচে ইনোসেন্ট কায়ার দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দেয়া ৩০৪ রানের বড় লক্ষ্যও ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে স্বাগতিকরা। রাজা ও কায়ার জোড়া সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।
নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে তিনশোর বেশি রান করেও হারতে হলো বাংলাদেশকে। এক সিকান্দার রাজার সাথেই যেন পেরে উঠছে না পুরো টাইগার শিবির! তার সাথে আজ যোগ দিয়েছিলেন ইনোসেন্ট কায়া। এই দুজনের ১৭২ বলে ১৯২ রানের বিশাল জুটিতেই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। একের পর এক ক্যাচ মিসের সাথে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও তামিমদের দৈন্যদশা আবারও সামনে এসেছে এই ম্যাচে। সেই সাথে ফ্ল্যাট উইকেটে পেসাররাও পাননি কোনো বাড়তি সুবিধা।
স্কোরবোর্ডে ৩০৩ রান সংগ্রহের পর ৬ রানের মধ্যেই প্রতিপক্ষ দুই ওপেনারকে আউট করে ম্যাচে দারুণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বাংলাদেশ। ৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওয়েসলি মাধেভেরের রানআউটে ভেঙে যায় ইনিংস মেরামতের জন্য এই ব্যাটারকে নিয়ে ইনোসেন্ট কায়ার প্রতিরোধের চেষ্টা। ৬২ রানে ৩য় উইকেটের পতনের পর ইনফর্ম ব্যাটার সিকান্দার রাজা উইকেটে এসেই বুঝে নেন দায়িত্ব। আর উইকেটের চারপাশেই বল পাঠিয়ে রানের চাকা রেখেছেন সচল।
কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের উপর পাল্টা আক্রমণ করে ফিল্ডিং নখদন্তহীন বানিয়ে ছাড়েন এই দুই ব্যাটার। ক্যাচ ছেড়েছেন তাইজুল। সহজ স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এনামুল বিজয়। কায়ার অনেক পরে ব্যাট করতে নেমেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে একসময় তাকে ছাড়িয়ে যান রাজা। সেঞ্চুরিও পেয়েছেন তারা প্রায় একসাথেই। অবশেষে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে শরীফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইনোসেন্ট কায়া। ১২২ বলে ১১০ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পথে এই ব্যাটার মেরেছেন ১১টি চার ও দুটি ছয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশকে যেন প্রিয় প্রতিপক্ষই বানিয়ে বোল্রাদের ওপর রোড রোলার চালিয়েছেন যেন সিকান্দার রাজা! বিরুদ্ধ অবস্থায় ব্যাট করতে নেমেও এই ব্যাটারের সামনে যেন নিতান্তই সাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়েছে মোস্তাফিজ-তাসকিনরা। পুরো বোলিং ইউনিটকে অনায়াসে খেলে রাজা সেঞ্চুরি পেয়েছেন দ্রুত সময়ে। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ১০৯ বলে ১৩৫ রান করে। তার এই ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছয়ের মার।
এর আগে, শুরুর চার ব্যাটারেরই অর্ধশতক প্রাপ্তিতে তিনশো রানের গণ্ডি পেরোয় বাংলাদেশের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬২) ও লিটন দাস (৮১), ওয়ান ডাউন ব্যাটার এনামুল হক বিজয় (৭৩) এবং চারে নামা মুশফিকুর রহিম (৫২*)। তবে বোলারদের ব্যর্থতায় এই ব্যাটিং পারফরমেন্সও দেখেনি সাফল্যের মুখ।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটের হারে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের ক্রিকেট’
/এম ই
Leave a reply