শোক মিছিল আর মাতমসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। ইরান, ইরাকসহ শিয়া অধ্যুষিত অনেক অঞ্চলে সোমবার (৮ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় দিনটি।
ইরাকের কারবালার প্রান্তর থেকেই বের করা হয় সবচেয়ে বড় তাজিয়া মিছিল। আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের দেশগুলোতে ১০ মহররমের আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে আজ। দিনটি উপলক্ষ্যে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসেইন (রা.) কে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ইয়াজিদ বাহিনী। তারই স্মরণে ১০ই মহররম শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মাতমের রীতি চলছে হাজার বছর ধরে।
শোকাবহ দিনটিতে প্রতিবছরের মতো এবারও ঐতিহাসিক কারবালা ময়দান থেকেই বের করা হয় সবচেয়ে বড় তাজিয়া মিছিল। অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। কেবল ইরাক নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই শোক মিছিলে যোগ দিতে আসে বহু মানুষ।
রীতি অনুসারে, ইমাম হুসেইন (রা.) এর রওজা শরীফে জড়ো হয়ে মাতম করেন শিয়া অনুসারীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ছিল কারবালাজুড়ে।
মেইনটেইনিং অর্ডার ডিপার্টমেন্ট প্রধান রাসেল আব্বাস বলেন, ইমাম হোসেনের অনুসারীরা শোক পালন করছে। কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কারবালা প্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ার কাজ করছে এখানে।
শিয়াপ্রধান দেশ ইরানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল তাজিয়া মিছিল। শোকের মাতমের মধ্য দিয়ে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা স্মরণ করেছে গোটা ইরানবাসী।
তুরস্ক, ইয়েমেন, লেবানন ও আফগানিস্তানের শিয়ারাও যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছেন আশুরা। দিবসটি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে সব দেশেই।
উপমহাদেশেও ১০ মহররমের কর্মসূচি চলছে আজ। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে এবারও নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে আশুরা পালনে। সোমবার মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
/এমএন
Leave a reply