ভোটের মাঠে অসম প্রতিযোগিতার অভিযোগ অহরহ। গেল জাতীয় নির্বাচনে এজেন্ট ঢুকতে না দেয়া এবং আগের রাতে তাদের সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপিসহ মাঠের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সংলাপেও এমন তিক্ততার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দল। এ অবস্থায় এজেন্টদের সুরক্ষায় আরপিও সংশোধন করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সে লক্ষ্যে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি। এছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তায়ও নেয়া হচ্ছে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা। আইন সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা যমুনা টেলিভিশনকে এসব কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, অধিকাংশ জায়গায় দেখা যায়, নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। তাদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। ভয়-ভীতি দেখানো হয়। যতটুকু দেখেছি আমরা, তাতে দেখেছি এ জায়গায় এক ধরনের গ্যাপ ছিল। তাতে যাতে কোনো গ্যাপ না থাকে সেজন্য একটা সংস্কার চাই। ভোটারদের ক্ষেত্রেও তাই। বারবারই উনারা বলছিলেন, ভোটারদের আসতে বাধা দেয়া হয়। নির্বিঘ্নে আসতে পারে না।
ভবিষ্যতে ভোটদানে বাধা দিলেও শাস্তির খড়গ নিতে হবে মাথায়। এছাড়া শাস্তির উল্লেখ না থাকায় বেশ কিছু অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলেও মনে করে কমিশন।
রাশিদা সুলতানা এ বিষয়ে বলেন, অনেক অপরাধের ধারা বর্ণনা করা আছে। এই করলে এই অপরাধ হবে। কিন্তু কিছু কিছু ধারায় শাস্তিটা ওভাবে বলা ছিল না। আমরা সেখানে শাস্তি আরোপের জন্য সুপারিশ করেছি।
গনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৭১, ৭৭, ৮৫ অনুচ্ছেদসহ সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সপ্তাহের মধ্যেই তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা বাড়াতে আচরণবিধিতেও সংশোধনী আনছে ইসি।
রাশিদা সুলতানা বলেন, প্রার্থী যদি তার আচরণবিধি ভাঙে, আমরা যদি মনে করি এখানে প্রার্থিতা বাতিল করা বেশি জরুরি, ওই রকম কিছু কিছু জায়গায় আনতে হবে। মাথার মধ্যে একটু হলেও আনবে না এমন কিছু করা যাবে না, যেটার মাধ্যমে আমার প্রার্থিতা বাতিল হবে।
মূলত, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য ভোট আয়োজনে নির্বাচনী আইন ও অধ্যাদেশের সীমাবদ্ধতা দূর করতে চায় বর্তমান ইসি।
/এমএন
Leave a reply