যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ‘অতি গোপনীয়’ বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করেছে এফবিআই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফবিআই এজেন্টদের জব্দ করা ১১ সেট নথির মধ্যে ছিল ‘টপ সিক্রেট’ (অতি গোপনীয়) বলে চিহ্নিত এমন কিছু তথ্য যা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’।
এবারিওই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সাবেক প্রেসিডেন্তের বাড়িতে ফৌজদারি তদন্তে তল্লাশি চালানো হলো। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ভুল কিছু করেননি এবং নথিগুলো গোপনীয় নয় বরং সেগুলো প্রকাশ করাও নিরাপদ।
গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ট্রাম্পের বাড়ি থেকে প্রাপ্ত বেশ কিছু নথির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর আগে একজন বিচারক একটি সাত পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ করেন, যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাম বিচের বাসভবন, মার-আ-লাগোতে অনুসন্ধানের অনুমোদনের পরোয়ানা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই নথিতে রয়েছে গত সোমবার ২০টিরও বেশি বাক্স ট্রাম্পের বাড়িতে আনার তথ্য। বাক্সগুলোয় ছিল একটি ফটো বাইন্ডার, একটি হাতে লেখা নোট, ‘ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি’ সম্পর্কিত কিছু অনির্দিষ্ট তথ্য এবং ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র রজার স্টোনের পক্ষে লেখা একটি ক্ষমাপত্র। সেই সাথে সেখানে ছিল চার সেট ‘অতি গোপনীয়’ নথি, তিন সেট গোপন দলিল এবং তিন সেট রাষ্ট্রের জন্য ‘গোপনীয় উপাদান’।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তল্লাশির ওয়ারেন্ট এটিই প্রকাশ করে যে, এফবিআই এজেন্টরা গুপ্তচরবৃত্তি আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনগুলি খতিয়ে দেখতেওই সেখানে গিয়েছিল। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকিস্বরূপ তথ্য রাখা এবং ছড়িয়ে দেয়া মূলত অবৈধ। আর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এমন সব তথ্য রাখার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তল্লাশি চালিয়েছে এফবিআই, বলেছে বিবিসি।
রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য গোপনীয় নথি অপসারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইনে অবৈধ। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এমন কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং এর শাস্তিস্বরূপ পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে এএফপি। দেশটির বিচার বিভাগ একটি আদালতকে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এই তথ্যগুলো প্রকাশ করতে বলে। চলমান তদন্তের মধ্যে বিচার বিভাগের এমন আদেশ বিরল বলে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক অধিকার বলেই নিরুত্তর থেকেছেন ট্রাম্প!
/এম ই
Leave a reply