অনেক সময়ই জনগণের পাশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাওয়া যায় না। তবে নির্বাচন এলে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণের সদিচ্ছা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ইশতেহার পূরণের প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের সম্পৃক্ততা নেই।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় উন্নয়নের অঙ্গীকার বিষয়ে নাগরিক সম্মেলনে, এমন তথ্য তুলে ধরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সিপিডি।
রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত নির্বাচনের আগে ইশতেহার প্রকাশ করে। সিপিডি বলছে, সেই ইশতেহার সম্পর্কে জানে না বেশিরভাগ স্থানীয় জনগণ। এতে নাগরিকদের তেমন সম্পৃক্ততাও নেই। ইশতেহার সম্পর্কে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। সম্মেলনে প্রান্তিক পর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি তোলা হয়।
সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উন্নয়নের জন্যে স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার। এক্ষেত্রে ভোটাররা শান্তি চায়। তিনি আরও জানান, নির্বাচনের সময়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চাহিদাকে সমানভাবে জায়গা করে দেয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে ইশতেহার প্রণয়নে। বিভিন্ন স্তরের চাহিদার যোগসূত্র স্থাপন করাকে চ্যালেঞ্জিং বলেও অভিহিত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সম্মেলনে কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা, নারীদের ব্যাংক ঋণে অপর্যাপ্ততা, মজুরি বৈষম্য, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে আনার দাবিও ওঠে আসে সম্মেলনে। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইশতেহার এখনও অনেকটাই ওপর থেকে সৃষ্টি করা। এটা নিচ থেকে গড়ে উঠছে না। ইশতেহার তৈরির প্রক্রিয়াতেই এই দুর্বলতা রয়ে গেছে বলে আমাদের আশঙ্কা হয়। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও অনেক ক্ষেত্রে জানেন না, তাদের দাবিদাওয়া ইশতেহারে জায়গা পাবে কিনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে চালু হবে ফাইভ-জি হোম নেটওয়ার্ক
/এম ই
Leave a reply