সম্মেলনের এক মাস পরও ঘোষণা হয়নি ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের নাম। তবে ঈদের পর যে কোন সময় ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, প্রার্থীদের ব্যাপারে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে বলেই কমিটি ঘোষণায় সময় লাগছে।
গত ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন। নতুন নেতৃত্বের আশায় এতে যোগ দেন সারা দেশ থেকে আসা হাজারো কর্মী। তবে এবারের সম্মেলন ছিল অনেকটাই ব্যতিক্রম। প্রথা অনুযায়ী বিলুপ্ত হয়নি চলতি কমিটি। দ্বিতীয় দিন নেতৃত্ব ঘোষণার কথা থাকলেও একমত হতে পারেননি সংগঠনের সাবেক নেতারা। শেষে সব দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জানান, সংগঠন ঢেলে সাজাতে নতুন কমিটি ঘোষণায় সময় লাগছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের মূল দুটি পদের জন্য অতীতের যে কোনো কমিটিতে বড়জোর তিন/চার জন প্রার্থী হতো। এবার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ৩২৩ জন প্রার্থী হয়েছে। এ বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া, তাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি বিস্তারিত নিতে সময় লাগছে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যাচাই বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়াটা শেষ হলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট নেতাদের সাথে পরামর্শ করে কমিটি ঘোষণা করবেন।
ছাত্রলীগের সম্মেলন এলে প্রতিবারই সামনে আসে সিন্ডিকেট এবং অনুপ্রবেশ ইস্যু। এবার প্রথম দিকে সাবেক নেতারা আগ্রহ দেখালেও তারা সরে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি দায়িত্ব নেয়ায়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন বলেন, সবার জীবন বৃত্তান্ত এবং পারিবারিক খোঁজখবর নিয়ে আশা করছি প্রধানমন্ত্রী দ্রুত একটি কমিটি উপহার দেবেন।
নতুন কমিটি গঠন না করায় পুরোনো কমিটিতে চলছে ছাত্রলীগ। ঈদের পর কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের নাম একসঙ্গে ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
Leave a reply