শুভ জন্মদিন আদনান সামি

|

আদনান সামি'র ৫১তম জন্মদিন আজ।

পিয়ানোতে তুলেছেন সন্তুরের সুর, কিবোর্ডে হয়েছেন দ্রুততম, অসংখ্য জনপ্রিয় সঙ্গীতের জন্য যাকে বলা হয় ‘সঙ্গীতের সুলতান’। সেই বলিউড গায়ক আদনান সামির জন্মদিন আজ। কাকতালীয়ভাবে ভারতের স্বাধীনতা দিবস আর এ সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন একই দিনে। একদিকে যখন ভারতের মানুষ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন, অন্যদিকে নিজের ৫১ তম জন্মদিন পালন করছেন আদনান সামি।

১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট লন্ডনে জন্ম আদনানের। বাবা আরশাদ সামি পাকিস্তান এয়ারফোর্সের পাইলট এবং মা নৌরিন জম্মু-কাশ্মীরের মেয়ে। আদনানের বড় হওয়া এবং পড়াশোনা ইংল্যান্ডে। লিঙ্কনস ইন থেকে আইনজীবী হিসেবে উত্তীর্ণ হন আদনান। পাঁচ বছর বয়স থেকেই পিয়ানো বাজাতেন তিনি।

১৯৮৬ সালে আদনান সামির প্রথম গান ‘রান ফর হুজ লাইফ’ ইংরেজিতে মুক্তি পায়। মধ্যপ্রাচ্যে তুমুল জনপ্রিয় হয় সেই গান। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় তার জীবনের একমাত্র সিনেমা ‘সরগম’। এ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা ছিলেন তিনি। পাকিস্তানে বেস্ট সেলিং অ্যালবামের মধ্যে অন্যতম ‘সরগম’।

২০০০ সালে রিলিজ পায় আশা ভোসলের সঙ্গে আদনান সামির বিখ্যাত অ্যালবাম ‘কভি তো নজর মিলাও’। আদনানের সুরে এ অ্যালবামের ভিডিও ছিল অত্যন্ত সফল ও জনপ্রিয়। অ্যালবামের সবচেয়ে বেশি হিট গান ‘কভি তো নজর মিলাও’ এবং ‘লিফট কারা দে’। এরপর বলিউডে গান ও অভিনয়- দু’দিকেই সমান সুযোগ আসতে থাকে তার। ‘আজনবি’, ‘আওয়ারা পাগল দিওয়ানা’, ‘সাথিয়া’, ‘কোই মিল গ্যায়া’, ‘পেজ থ্রি’, ‘গরম মাসালা’, ‘ডার্লিং’, ‘ধামাল’-এর মতো সিনেমায় আদনান সামির গান শ্রোতাদের মনে দাগ কাটে। বলিউডে এখন পর্যন্ত তার শেষ কাজ সালমান খানের ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ সিনেমায়।

গানের জন্য আদনান যতোটা শিরোনামে ছিলেন, তার ওজন এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চায় ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানি অভিনেত্রী জেবা বখতিয়ারকে জীবনসঙ্গী করে নেন। এই বিয়ে টিকেছিল মাত্র তিন বছর। ২০০১ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাবাহ গালাদরিকে। দেড় বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই বিয়েও।

২০০৬ সালে তার ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কেজি। এ সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, এভাবে চলতে থাকলে তার আয়ুষ্কাল হবে মাত্র ৬ মাস। এরপর কঠোর ডায়েটিং ও শরীরচর্চায় ১৬ মাসে ১৬৭ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেন! এরপর এই ওজন আর বাড়তে দেননি আদনান।

২০০১ সালে থেকে ভিজিটর ভিসা নিয়ে ভারতে বসবাস করতে থাকেন আদনান। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী সাবাহ আবার তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু এবারও দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আট বছর পর ২০১০ সালে রোয়া সামি খানকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির একমাত্র মেয়ে মদিনা।

২০১৬ সালে ভারতের স্থায়ী নাগরিকত্ব পান তিনি। ২০২১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত করা হয়। এছাড়া নিগার অ্যাওয়ার্ড, বোলান একাডেমী অ্যাওয়ার্ড, গ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ইউনিসেফ এর শান্তি পদক। আজকের দিনে ভারতীয় সঙ্গীতাঙ্গনের সুলতানকে রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা। হ্যাপি বার্থডে আদনান সামি।

/এসএইচ



সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply