বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট কাজ করে সংবাদের শিরোনাম হন বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। আর এক্ষেত্রে তার বিশেষ পছন্দ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত লেখা মহান কবি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তিনি। সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথকে অপমান করায় চট্টগ্রামের আইনজীবী মিঠুন বিশ্বাস এবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন নোবেলকে।
প্রায়ই বিভিন্ন সব বিতর্কে থাকাই যেনো তার অভ্যাস। ভারতে বিতর্ক সৃষ্টির জন্য অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত থাকলেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আছেন সঙ্গীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তার মন্তব্য থেকে রেহাই পাননি বাংলাদেশের অনেক কিংবদন্তী শিল্পী থেকে শুরু করে স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও!
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় সংগীত নিয়ে দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নোবেল। এর জেরেই নোবেলকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস। নোটিশে তার পেজ থেকে স্ট্যাটাস দুটি অপসারণ ও অপরাধ স্বীকার করে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) নোবেলের ঢাকার ডেমরার ঠিকানায় উকিল নোটিশটি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস নিজেই।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে নোবেল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে কুৎসা ও বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। এছাড়া গানটির রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, বিদ্বেষমূলক অপপ্রচারের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। যা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইনি নোটিশ অনুযায়ী, যদি নোবেল ক্ষমা চেয়ে ৭ দিনের মধ্যে স্ট্যাটাস সরিয়ে না নেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।
তাহলে কি এবার মামলায় জড়াবেন নোবেল? এখন তা নির্ভর করবে নোবেলের পরবর্তী পদক্ষেপ এর ওপর।
/এসএইচ
Leave a reply