প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পর এসে নিজস্ব ভবনে অফিস পেতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ। দলীয় সদস্যদের চাঁদায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দশ তলার আধুনিক ভবন। আসছে ২৩ জুন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন নতুন এই ভবনের। এর ফলে নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে আশা কেন্দ্রীয় নেতাদের। একইসাথে তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবেও এই ভবন কাজ করবে বলেও মনে করেন তারা।
৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের স্থায়ী ঠিকানার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পুরোদমে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। প্রায় সাত কাঠার ওপর নির্মিত ১০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৪ হাজার বর্গফুট। রাজউকের ইমারত বিধিমালা মেনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে ভবনটি। নির্মাণকাজ শেষ, চলছে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি।
ভবনের ৭টি ফ্লোরই নেতাকর্মীদের জন্য। সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকরা বসবেন সাত তলায়। থাকছে প্রায় ৩০০ আসনের কনফারেন্স হল, ১০০ আসনের সেমিনার রুম এবং রিসার্চ সেন্টার। ৮ তলা বরাদ্দ দলীয় সভাপতির জন্য। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য থাকছে বড় পরিসরের মিটিং রুম।
নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাকে মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে এই ভবন। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়াও থাকছে ডিজিটাল লাইব্রেরি, সেমিনার রুম, সাংবাদিক লাউঞ্জ ও ক্যাফেটেরিয়া। আছে কার পার্কিং এবং একাধিক লিফট।
৭ কাটা জায়গার ওপরে ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থান স্বল্পতা মাথায় রেখেই আমাদের ডিজাইন করতে হয়েছে।
প্রায় এক বছরেরও কম সময়ে তৈরি এই ভবনটির প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়েছে ৪ হাজার টাকার মতো। সদস্যদের নিজেদের টাকায় তৈরি এই ভবন ভবিষ্যতের নেতাকর্মীদের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান বলেন, সারাদেশ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এখানে আসবে। দলের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে উৎসাহ নিয়ে আবার ফিরে যাবে।
১৯৪৯ সালে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ ঘটে আওয়ামী লীগের। বেশ কয়েকবার কার্যালয় স্থানান্তরের শেষে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর বর্তমান ভবনটি ভাড়া নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
যমুনা অনলাইন: ভিভি/টিএফ
Leave a reply