ঘরোয়া লিগে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ২০২১ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় নাসুম আহমেদের। নিজের পঞ্চম বলেই ফিন অ্যালানকে বোল্ড করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের পথচলা শুরু করেন নাসুম।
এরপর থেকে প্রায় প্রতি সিরিজেই পারফর্ম করে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গাটা পাকা করে নিয়েছেন নাসুম। অভিষেকের দেড় বছরের মধ্যে ২৪টি টোয়েন্টি খেলে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। তবে নাসুমের সেরা শক্তি তার কিপটে বোলিং। মারদাঙ্গা ক্রিকেটেও তার ইকনোমি ৭.২২। যার ফলে দেশের একমাত্র স্পেশালিস্ট টি-টোয়েন্টি স্পিনারের তকমা লেগে গেছে তার গায়ে।
কিন্তু ব্যর্থতার জিম্বাবুয়ে সফরে দলের মতো শেষ ম্যাচটা খুব বাজে কেটেছে নাসুমেরও। ২ ওভারে দিয়েছেন ৪০ রান। যার মধ্যে রায়ান বার্লের এক ওভারেই ৫ ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৪ রান তুলেছিলেন নাসুমের বলে। কিন্তু দল আর ব্যক্তিগত সেই বাজে পারফরম্যান্স পেছনে ফেলে এশিয়া কাপে ভালো করতে চান ২৭ বছর বয়সী এই স্পিনার।
নাসুম বলেন, শুধু আমাকে দিয়েই কথা না, সবারই লক্ষ্য থাকে দেশের হয়ে ভালো করার। আমিও সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।
ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও ছোট্ট আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনও সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতা নেই নাসুমের। এবার নতুন অধিনায়কের গেমপ্ল্যানে এশিয়া কাপে সফল হতে চান তিনি। লক্ষ্য একটাই সুযোগ পেলে সামর্থ্যের সেরাটা দেওয়া। সেই সাথে টুর্নামেন্ট শুরু আগে দুবাইয়ের অনুশীলন সেশনও গুরুত্বপূর্ণ, বলেছেন নাসুম।
নাসুমের ভাষ্য, সাকিব ভাইয়ের নেতৃত্বে প্রথম খেলবো। দেখা যাক কী হয়। এখানে আমরা দুইটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলেছি। দুবাই গিয়ে আমরা তিন-চারদিন সময় পাবো। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে বাংলাদেশকে জিততে হবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বাধা। তবে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চান নাসুম। বলেন, আসলে এগুলো নিয়ে এখনই চিন্তা করতেছি না। প্রথম ম্যাচটা জেতার পর পরেরটা নিয়ে চিন্তা করবো।
জেডআই/
Leave a reply