বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প: নারী জীবনের গূঢ় বেদনার ঐক্য

|

'বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প' নিয়ে পাঠকদের সাথে লেখকের আড্ডা।

স্বাধীনতার পর অর্ধশতকে এদেশে নারীর মুক্তি কতটুকু এসেছে? নারী কেন আজও এদেশে আদতে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক? প্রান্তিক জেন্ডার হিসেবে নারীর ‘সংখ্যালঘু দশা’র পেছনে রাষ্ট্রের দায় কতটুকু? এই জরুরি প্রসঙ্গগুলোকে খতিয়ে দেখেছে আফরোজা সোমা’র প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’। গূঢ় বেদনার ঐক্য আদতে এক সুতোয় বেঁধেছে প্রজন্মান্তরের নারী জীবনকে।

এই বইয়ের পাঠকদের সাথে লেখকের মুখোমুখি সাক্ষাৎ ঘটাবার জন্য শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলামোটর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে পাঠ-প্রতিক্রিয়া ও আনন্দ-আড্ডার আয়োজন করে গ্রন্থটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হাসান’স। আফরোজা সোমার জেন্ডার ও মিডিয়া বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ ইতোমধ্যেই আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বইটির রচয়িতা কবি, প্রাবন্ধিক এবং জেন্ডার, মিডিয়া ও আইডেন্টিটি বিষয়ক গবেষক আফরোজা সোমা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে বাংলাদেশ। অর্ধশতকে নারীও এগিয়েছে বহুদূর। কিন্তু আফরোজা সোমা খুঁজে দেখতে চেয়েছেন, মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা কতটুকু প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিষয়ক খবরগুলোর ভাষা কীভাবে নারীর প্রতি বিদ্যমান অসহনশীলতা ও অসংবেদনশীলতাকে জারি রাখে, সে প্রশ্নের উত্তর নির্ণয়ের প্রয়াস চালিয়েছেন তিনি। দেখতে ও দেখাতে চেয়েছেন, এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কেমন করে পুরুষের পায়েই দিয়েছে বন্দিত্বের জিঞ্জির।

বইটিতে চারটি পর্বে মোট সাতাশটি লেখা আছে। সেগুলো একদিকে তুলে ধরেছে নারীর নিম্নবর্গীয় বাস্তবতা, অন্যদিকে আলো ফেলেছে পুরুষতন্ত্রের ফাঁদবন্দি পুরুষের বঞ্চনার দিকে। বিরাজমান বৈষম্য ও বঞ্চনার অবসান কোন পথে? সেই উত্তরও তালাশ করেছে ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply