কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মানুষ বন্ধক রেখে ইয়াবা ব্যবসা করতো এমন ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি একে ২২ রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এসবিবিএল এবং ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১৫’র কক্সবাজার সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আব্দুল্লাহ রাজ্জাক ওরফে রাজ্জাক মাঝি, ইলিয়াছ, সাহেদ, মো. আয়াছ ওরফে আজিজুল ও সাইফুল ইসলাম। এরমধ্যে রাজ্জাক মাঝি ও আজিজুল হক রোহিঙ্গা। বাকি ৩ জন বাংলাদেশের নাগরিক।
ব্রিফিংয়ে খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসাইন সাধারণ মানুষকে বন্ধক রেখে ও কিস্তিতে ইয়াবা সরবরাহ করতো। সময়মতো যদি টাকা আদায় করতে না পারতো তাহলে বন্ধক রাখা ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হত্যা করা হতো। এরকম মানুষ বন্ধক রেখে নির্যাতনের একটি ভিডিও র্যাবের হাতে আসে।
অভিযোগ রয়েছে, নবী হোসাইন সিন্ডিকেট উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প এলাকায় ইয়াবা পাচার ও বিভিন্ন অপরাধকর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো। এক সময় সরকারি একটি সংস্থা (বিজিবি) নবী হোসেনকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেন। এর পর থেকে র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের সিন্ডিকেট ধরতে কাজ শুরু করে। পরে নবী হোসেন গ্রুপের হাতে নির্যাতনের শিকার এমন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল শুক্রবার রাতে উখিয়া উপজেলার বালুখালী সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী হোসেন গ্রুপের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সন্ত্রাসী রাজ্জাক মাঝি র্যাবকে জানায়, মিয়ানমারের নাগরিক নবী হোসেন একটি বিশাল সিন্ডিকেট গঠন করে উখিয়া সীমান্তের কাছে মিয়ানমারে বসবাস করে বাংলাদেশে মাদক পাচার করে থাকে। প্রতিমাসে তারা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশী কারবারিদের সরবরাহ করে। এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে মানুষ বন্ধক রেখে টাকা আদায় করে।
তবে র্যাব জানায়, অভিযান চলাকালে মূলহোতা নবী হোসেনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটককৃদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এটিএম/
Leave a reply