মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের মুজিবনগরে প্রকাশ্যে দিবালকে চা দোকানি লিয়াকত হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মৃত আলিয়াত খাঁর ছেরেল কাবিদুল খাঁ, মৃত আবু লায়েস খাঁর ছেলে জামাত আলী খাঁ ও মৃত আলিয়াত খাঁর ছেলে মফিদুল ইসলাম খাঁ।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের মৃত আবু লায়েস খাঁর ছেলে ছোট খোকন, মৃত আবুল খাঁর ছেলে ভরস খাঁ ও লিয়াকত খাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিন আসামি ওবিদ আলী, মশিউর রহমান ও তাছিরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে ছিল হাটের দিন। সেদিন দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ঐ গ্রামের রিপন হাটের মধ্যে মাত্র ৪শ পাওনা টাকা চাইতে যায় একই গ্রামের জামাত আলী ও খোকার কাছে। কথা কাটাকাটির এ পর্যাযের তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে আসামিরা সেখান থেকে চলে যায়। রিপন হাটেই তার বড় ভাই লিয়াকতের চায়ের দোকানের একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আসামিরা ১০/১২ জন অস্ত্র নিয়ে রিপনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার ভাই চা দোকানি রিপনকে বাঁচাতে গেলে ধারালো রামদা দিয়ে তার মাথায় কোপ দেয়া হয়। রিপন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও নিহতের ছেলে ফয়সাল ও ভাই মাবুদ তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকতকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মোখলেছ বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পড়ে মুজিবনগর থানার এসআই মতিউর রহমানের ওপর। এক মাসের মধ্যে ঐ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন ওই পুশ কর্মকর্তা। ১২ জনের সাক্ষ্য শেষে বিচারক আজ সকালে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply