৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ভারতের ৩২ তলা ‘টুইন টাওয়ার’

|

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ৯ সেকেন্ডের ভেতর গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ভারতের ৩২ তলা বিশিষ্ট সুউচ্চ ভবনর ‘নয়ডা সুপারটেক টুইন টাওয়ার’। রোববার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় এই ভবন ধ্বংস করা হয়।

ভবনের পিলারের গায়ে ৭০০০ গর্ত করে বিস্ফোরক ভরা হয় ৩ হাজার ৭’শ কেজি বিস্ফোরক। এতে বিস্ফোরণ ঘটার সাথে সাথেই অবকাঠামোটি সরাসরি নিচে পড়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ০.৪। ১২ মিনিট ধরে উড়ে ধুলাবালি। প্রকৌশলের ভাষায় এ কৌশলের নাম ‘ওয়াটারফল টেকনিক’।

বিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই টাওয়ারটি নিয়ে আইনি লড়াই চলছিলো। ২০১৪ সালে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ আদালত। পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলা। শেষমেশ গেল বছর ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দুই ভবনে মোট সাড়ে আটশ ফ্ল্যাট। ছিল।

অ্যাপেক্স টাওয়ার ও সেয়ান টাওয়ার নামের দুটি ভবন নিয়ে তৈরি নয়ডা টুইন টাওয়ারটি। ৩২ তলা বিশিষ্ট অ্যাপেক্স টাওয়ারটির উচ্চতা ছিল ৩৩৮ ফুট। আর ২৯ তলার সেয়ান ভবনটির উচ্চতা ছিল ৩১৮ ফুট।

নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবনটি গুঁড়িয়ে ফেলা হলেও, দুর্ঘটনা এড়াতে নেয়া হয় সব ধরনের ব্যবস্থা। আগে থেকেই সরিয়ে নেয়া হয় আশপাশের ভবনের প্রায় ৭ হাজার বাসিন্দাকে। পার্কিং জোন থেকে অপসারণ করা হয় প্রায় আড়াই হাজার গাড়ি। এমনকি আধা ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় নয়ডা এক্সপ্রেস ওয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

পরিকল্পিত বিস্ফোরণে সুউচ্চ ভবন দুটি গুঁড়িয়ে দেয়ার ফলে তৈরি হয়েছে ৫৫ হাজার টন আবর্জনা। যা অপসারণে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply