তীব্র খরায়ও সবুজে ভরে উঠেছে উত্তরের ধানক্ষেতগুলো

|

তীব্র খরা সত্ত্বেও পানিতে টইটুম্বুর তিস্তা সেচ প্রকল্পের খালগুলো। সেচের পানি পেয়ে সবুজে ভরে উঠেছে নীলফামারী, দিনাজপুর আর রংপুরের ফসলের মাঠ। বাম্পার ফলনের আশা তিন জেলার কৃষকদের। চলতি মৌসুমে কমপক্ষে দুইশ কোটি টাকার অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের প্রত্যাশা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের।

প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেচ খালের মাধ্যমে ভূ-উপরিভাগের পানিতে হচ্ছে ফসলের আবাদ। সেচ সুবিধা ভোগ করছে ১৫ লাখের বেশি কৃষক।

সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে হবে বড় অংকের অর্থের জ্বালানি সাশ্রয়। প্রকল্পের পানি ব্যবহারের ফলে বছরে একরপ্রতি কৃষকের সার্ভিস চার্জ মাত্র ৪শ ৮০ টাকা। অথচ পাম্পে সেচ দিলে খরচ হতো ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। খরাতেও সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানি পেয়ে খুশি চাষি।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার বলছেন, খরা মোকাবেলায় শুকনো মৌসুমে বোরো আর বর্ষায় আমন আবাদে দেয়া হচ্ছে সম্পূরক সেচ। এতে দুই লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে বলেও আশা তার।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় চলতি বছর নীলফামারী-রংপুর ও দিনাজপুরে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply