বগুড়া ব্যুরো:
ভেজাল সন্দেহে বগুড়ায় বিসিআইসি’র বাফার গুদামে ১৭ ট্রাক সার প্রবেশ করাচ্ছেন না স্থানীয় কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে ও মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে ২৩৮ মেট্রিক টন সার বিসিআইসি’র বগুড়া গুদামের জন্য পাঠানো হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বগুড়া আসার পথে সারগুলো পরিবর্তন করে নকল/ভেজাল সারের বস্তা ট্রাকে তোলা হয়েছে। তাই তারা সেটি গ্রহণ করছেন না।
বিসিআইসির বগুড়া বাফার গুদামের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে প্রথমে ৭টি ট্রাকে ৯৮ মেট্রিক টন টিএসপি সার বগুড়ায় পাঠানো হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচ.আর. কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাঠানো সারগুলো সোমবার বগুড়া শহরের তিনমাথা এলাকায় বাফার গুদামে এসে পৌঁছে। একটি ট্রাক থেকে সারগুলো আনলোড করার সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম থেকে বগুড়ায় আনার পথে সারের বস্তাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। অর্থাৎ, আসল সার নামিয়ে নিয়ে ভেজাল বা নকল সার পাঠানো হয়েছে। সে কারণে ওই সারগুলো গ্রহণ করা যাবে না।
প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে সারভর্তি ট্রাকগুলোর আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রাখে গুদাম কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে আরও ১০টি ট্রাকে করে ১৪০ মেট্রিক টন সার পৌঁছে বগুড়ার গুদাম চত্বরে। একই সন্দেহের কারণে সেগুলোর আনলোড কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, নকল সার পাঠানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম টিএসপি কমপ্লেক্স তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ায় বাফার গুদাম পরিদর্শন করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য টিএসপি কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মাজহারুল ইসলাম জানান, আগে পাঠানো বস্তার সাথে পরে ১৭টি ট্রাকে আসা সারের বস্তাগুলোর তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। সার যেহেতু একটি রাসায়নিক দ্রব্য সেজন্য খালি চোখে দেখে কোনো কিছু বোঝার উপায় নেই। মঙ্গলবারই সারগুলোর নমুনা রাজশাহী মৃত্তিকা ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরাও পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছি। তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এই সারগুলো নকল কী না।
/এসএইচ
Leave a reply