নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের হরতকীতলা এলাকায় স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কোপানোর পর নিজের পেট কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় জিয়াউল ইসলাম জিয়া নামের এক ব্যাক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তার স্ত্রী রতনা বেগম (২৫) ও তিন বছরের কন্যা ইয়াছমিন। গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়া, ১৪ দিন বয়সী কন্যা ও তার শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। তবে জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। জিয়া একই ইউনিয়নের চান্দিনা পাড়া এলাকার শুমারু মাহমুদের ছেলে।
বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অশ্বনী কুমার রায় জানান, দীর্ঘদিন হতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল চলছিলো। দুপুরে জিয়া আর তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। জিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী, এক কন্যা ও শ্বাশুড়িকে ছুরি দিয়ে কোপায়। আর ১৪ দিন বয়সের ছোট মেয়েকে পানিতে ফেলে দিয়ে নিজের পেটে ছুরি দিয়ে কোপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী রতনা বেগম ও কন্যা ইয়াছমিনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ গুরুতর অবস্থায় জিয়া, তার শ্বাশুড়ি ও ১৪ দিনের কন্যাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জিয়ার আবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করায় লাদেনের হাতে খুন হয় ডায়না
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিন জনকে আহত অবস্থায় ও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেডআই/
Leave a reply