নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
‘শইল্যে তো মানে না স্যার। শয়তানের ধোঁকায় পড়ছি, আমার কী করার আছে, কন?’। ১১ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুকে বলাৎকার চেষ্টা ও কামড়ে রক্তাক্ত করার পর নিজের অপরাধকে জায়েজ করতে এমনই অদ্ভুত যুক্তি হাজির করলেন বলাৎকারকারী ষাটোর্ধ্ব জালাল।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি তার। বলাৎকারের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন তিনি শ্রীঘরে।
পুলিশ জানায়, ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিম ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রকে মোবাইল ও টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যান জালাল। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি তার বুক কামড়ে রক্তাক্তও করেন তিনি। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে তার মাকে বিস্তারিত খুলে বললে তিনি (মা) বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে রাউজান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সটকে পড়েন জালাল। তবে গা ঢাকা দিতে পারেনি, ভোরে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নস্থ পাঁচখাইন এলাকার এক মাজার প্রাঙ্গন থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও জালালের বিরুদ্ধে একের পর এক শিশু বলাৎকারের অভিযোগ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সম্ভবত বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত একজন মানুষ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
অফিসার ইনচার্জ, রাউজান থানা আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, আটককৃত জালাল আহম্মদকে একজন অভ্যাসগত শিশু বলাৎকারকারী হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এর আগেও ২০১৫ সালের অনুরূপ এক শিশু বলাৎকারের ঘটনায় বেশ কয়েক মাস জেল খাটেন তিনি।
/এনএএস
Leave a reply