ধনীদের জন্য বিশেষ ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:

বিদেশি ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা ব্যবস্থা চালু করছে মালয়েশিয়া। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা হয়, আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। অফশোর মাসিক আয় কমপক্ষে ৪০ হাজার রিঙ্গিত হলেই যে কোনো বয়সের ব্যক্তি এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসা উদ্যোগের মতো ধনী বিনিয়োগকারীদের মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসে আকৃষ্ট করার জন্য সরকার নতুন প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছে বলেও জানানো হয়েছে ওই নোটিশে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) মালয়েশিয়ার সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এমন দেশগুলো ছাড়া সব দেশের ধনী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে আবেদনকারীদের সংখ্যা মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার ১% এ সীমাবদ্ধ করা হবে।

এছাড়া সফল আবেদনকারীদের তাদের স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, পিতামাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং গৃহকর্মীকে বিদ্যমান অভিবাসন আইন সাপেক্ষে নির্ভরশীল হিসেবে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আবেদনকারীদের এককালীন ২ লাখ রিঙ্গিত অংশগ্রহণ ফি দিতে হবে এবং প্রতিটি আবেদনে নির্ভরশীলের জন্য এককালীন ১ লাখ রিঙ্গিত ফি ধার্য করা হবে। ২১ বছরের বেশি বয়সী অংশগ্রহণকারীদের শিশুরা নির্ভরশীল বলে বিবেচিত হবেন না এবং দেশে থাকার জন্য অবশ্যই পিভিআইপি অংশগ্রহণকারী হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আবেদনকারী বর্তমানে যে দেশে বসবাস করছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভালো আচরণের একটি সনদ জমা দিতে হবে। পিভিআইপি ২০ বছরের জন্য প্রযোজ্য, তবে প্রতি পাঁচ বছরে একবার পুনর্নবীকরণ করা হবে। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা, ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট করা, মালয়েশিয়ায় পুলিশের স্ক্রিনিং এবং চিকিৎসা পরীক্ষা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন জানান, আবেদনকারী এবং নির্ভরশীলদের অবশ্যই স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে। পিভিআইপির সুবিধার অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সম্পত্তি কেনার (রাষ্ট্রীয় আইন সাপেক্ষে), অধ্যয়ন, বিনিয়োগ এবং ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া হবে।

মন্ত্রণালয় আত্মবিশ্বাসী পিভিআইপি বিশ্বব্যাপী টাইকুনদের আকর্ষণ করবে। সরকার প্রথম বছরে ১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করেছে যারা অর্থনীতিতে ২০০ মিলিয়ন এবং ১ বিলিয়ন রিঙ্গিত স্থায়ী আমানতে অবদান রাখবে।

/এডব্লিউ