পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটির প্রথম দিনে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে; যে যেভাবে পারছেন, ছুটছেন আপনজনের কাছে। বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঈদযাত্রায় শেষ মুহূর্তে চরম ভোগান্তি যাত্রীদের, যানবাহনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের; অভিযোগ রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়েরও।
সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অনেকে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে করে যাচ্ছেন স্বজনের সাথে ঈদ করতে। যাত্রীদের চাপ বাড়ায় কিছুটা বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন। দেখা দিয়েছে শিডিউল বিপর্যয়। ধুমকেতু, সুন্দরবনসহ প্রায় সবক’টি ট্রেন ছাড়ছে এক থেকে দু’ঘণ্টা দেরিতে।
ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে। সকাল থেকে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঘরমুখো হয়েছেন নগরবাসী। তবে যাত্রীর তুলনায় বাহন কম হওয়ায় দেখা দিয়েছে সংকট। রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষায় আছেন বিপুল সংখ্যক যাত্রী। প্রায় সবক’টি গাড়ি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে রাজধানী ছেড়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।
ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিলো সদরঘাটেও। সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩২টা লঞ্চ ছেড়ে গেলেও এখনও লঞ্চের অপেক্ষায় আছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই গতকাল রাত থেকেই সদরঘাটে লঞ্চের অপেক্ষায় আছেন। বিশেষ বরিশাল-ভোলা রুটের লঞ্চ আসতে দেরি করায় ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। পাশাপাশি প্রচন্ড গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশুরা।
Leave a reply